-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

কবিতা: অসুরলোকে খবর যায়।


কবিতা: অসুরলোকে খবর যায়।  অসুরলোকে খবর যায় আগে ভাবতাম অসুরেরা দেবলোকের ভাষায় অজ্ঞ। দেবভাষা অপছন্দ তাই সে ভাষায় তারা বড্ড তিক্ত। পরে বুঝতে পারলাম আমি ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলাম। তারা, দেবভাষা কিঞ্চিৎ জানে বটে, হয়ত কাজ চালাতে প্রয়োজনে অল্প অল্প মোটে। ভাষা জানলেও দৈবীবাকের মর্ম উপলব্ধি করতে পারে না তারা। যদি পারতো, তবে এমন কদাকার ভয়ংকর কর্ম হত কী তাদের দ্বারা? বাড়ির কোণে, আশেপাশে রঙবেরঙের পোশাক আর বাহারী মুখোশে দানবের দল; ঘাপটি মেরে বসে থেকে এথায় সেথায় যত্রতত্র পাতে দানবের অদৃশ্য মায়াবী কল। অবাক হই তখনই- দেবলোকে দেবভাষায় অসুরদের স্বভাব, উগ্রতা ও মায়াবী কল নিয়ে দেব-সন্তানদের সতর্কবার্তা দিলে কি করে যেন তাৎক্ষণিক সে খবর তুরন্ত পৌঁছে, অসুরদের অসুরলোকে। বার্তা পেয়েই দলবেঁধে হাতে বড় বড় মুসল নিয়ে দানবের দল হাজির হয় জীবন্ত মাংসের লোভে। হাউমাউখাউ গর্জন করে সবাই মিলে এক শ্লোগানে, আসে দেবলোক আক্রমণে অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে। দেব-সন্তানদের নিশ্চিহ্ন করতে হিংস্র গতিতে হাত পা ছুড়তে ছুড়তে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে ছুটে আসে তাদের জীবন্ত কাঁচা খেতে। দুষ্ট পাপী নরকাসুরের দল হিংসাই যাদের একমাত্র বল। দিকবিদিকে পেতে রেখেছে দৈবশক্তি ধ্বংস করার কল। এই লক্ষ্যে কত যে তাদের ছল! যারা তা বুঝতে পারে না, তারাই পেটে গিয়ে হয় দিনান্তে তাদের শরীরের বর্জনীয় মল। কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

অসুরলোকে খবর যায়

আগে ভাবতাম অসুরেরা
দেবলোকের ভাষায় অজ্ঞ।
দেবভাষা অপছন্দ তাই
সে ভাষায় তারা বড্ড তিক্ত।
পরে বুঝতে পারলাম
আমি ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলাম।
তারা,
দেবভাষা কিঞ্চিৎ জানে বটে,
হয়ত কাজ চালাতে
প্রয়োজনে অল্প অল্প মোটে।
ভাষা জানলেও দৈবীবাকের মর্ম
উপলব্ধি করতে পারে না তারা।
যদি পারতো, তবে এমন কদাকার
ভয়ংকর কর্ম হত কী তাদের দ্বারা?
বাড়ির কোণে, আশেপাশে
রঙবেরঙের পোশাক আর
বাহারী মুখোশে দানবের দল;
ঘাপটি মেরে বসে থেকে
এথায় সেথায় যত্রতত্র পাতে
দানবের অদৃশ্য মায়াবী কল।
অবাক হই তখনই-
দেবলোকে দেবভাষায় অসুরদের
স্বভাব, উগ্রতা ও মায়াবী কল নিয়ে
দেব-সন্তানদের সতর্কবার্তা দিলে
কি করে যেন তাৎক্ষণিক সে খবর
তুরন্ত পৌঁছে, অসুরদের অসুরলোকে।
বার্তা পেয়েই দলবেঁধে
হাতে বড় বড় মুসল নিয়ে
দানবের দল হাজির হয়
জীবন্ত মাংসের লোভে।
হাউমাউখাউ গর্জন করে
সবাই মিলে এক শ্লোগানে,
আসে দেবলোক আক্রমণে
অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে।
দেব-সন্তানদের নিশ্চিহ্ন করতে
হিংস্র গতিতে হাত পা ছুড়তে ছুড়তে
দৌড়ঝাঁপ করতে করতে ছুটে আসে
তাদের জীবন্ত কাঁচা খেতে।
দুষ্ট পাপী নরকাসুরের দল
হিংসাই যাদের একমাত্র বল।
দিকবিদিকে পেতে রেখেছে
দৈবশক্তি ধ্বংস করার কল।
এই লক্ষ্যে কত যে তাদের ছল!
যারা তা বুঝতে পারে না,
তারাই পেটে গিয়ে হয় দিনান্তে
তাদের শরীরের বর্জনীয় মল।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : কবিতা: অসুরলোকে খবর যায়।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক : Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁