-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

অযোগ্য, শ্রদ্ধাহীনদের কাছে, শাশ্বত ধর্ম ব্যক্ত করতে নেই।

অযোগ্য, শ্রদ্ধাহীনদের কাছে,   শাশ্বত ধর্ম ব্যক্ত করতে নেই  শাশ্বত ধর্মের কথা সকলেই বোঝে না এবং বোঝার সাধ্যও নেই। তাই ধর্মের শাশ্বত বাণী যোগ্য অধিকারী ছাড়া বলতে নেই। কারণ সকলেই সকল কিছু ধারণ করতে পারে না। সকলের ধারণ ক্ষমতার পাত্রে এক নয়। মহাভারতে বলেছে, যে ব্যক্তি শাসনযোগ্য নয়, অর্থাৎ অনুশাসন মান্য করে না; ধর্ম এবং শাস্ত্রের প্রতি যার সামান্যতম একনিষ্ঠতা নেই; যিনি জ্ঞান অর্জন এবং জ্ঞানদাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়; যার মন অত্যন্ত কুটিলতা দ্বারা বিভ্রান্ত ; এ সকল বৈশিষ্ট্যধারীদের কাছে কখনো শাশ্বত ধর্মের কথা বলতে নেই। এতে অপাত্রে মুক্তা ছড়ানো হবে।  ন চাশিষ্যাযাব্রতাযোপকুৰ্য্যান্না- শ্রদ্দধানায় ন বক্রবুদ্ধয়ে ৷ গুহ্যো হ্যষং সর্বলোকস্য ধর্মো নেমং ধৰ্মং যত্র তত্র প্ৰজল্পেৎ ॥ (মহাভারত :অনুশাসন পর্ব, ৬১.২২) "যে লোক শাসনযোগ্য নয়, ব্রতী নয়, শ্রদ্ধাশীল নয়, কিংবা সরল বুদ্ধির নয়; তাদের কাছে ধর্মের কথা বলবে না। অযোগ্যদের কাছে যেখানে সেখানে ধর্মের কথা বলবে না, গোপন রাখবে।" শাশ্বত ধর্ম যে যে যেখানে সেখানে ব্যক্ত করা যায় না, এ বিষয়টি শ্রীমদভগবদগীতায় বলা হয়েছে। সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, এই গীতারূপ রহস্যময় উপদেশ কখনও ধর্মকে যিনি নিজ জীবনে সাধন করে মূর্তিমান করেন না সেই তপস্যাহীন, ভক্তিহীন ব্যক্তিদের কাছে মুক্তিপ্রদ রহস্যময় বিদ্যা না বলতে। মনুষ্য জন্ম শুধু একটি জন্মেই সীমাবদ্ধ নয়। জগতে কেউ এক জন্মেই মুক্তিলাভ করবে না। যোগ্য অধিকারী বিহীন জন্ম জন্মান্তরের আবর্তনে আবর্তিত হতে হয়। জীবের বহু জন্মের পুণ্যের ফলে মনুষ্যজন্ম লাভ হয়। কিন্তু সেই মনুষ্য, তার মনুষ্য জন্মের প্রধান উদ্দেশ্য মুক্তির কথা ভুলে অন্য সকল গৌণ বিষয় নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়। এতে সে অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুক্তির পথ থেকে দূরে চলে যায়। জগতে কেউ পরম উপকারী দুধ বিক্রি করে, সেই অর্থে মদ পান করে। আবার কেউ মদ বিক্রি করে, সেই অর্থে শরীরকে পরিপোষণের জন্য দুধ পান করে। একারণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, রহস্যময় ব্রহ্মবিদ্যা জানতে অনাগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে তা প্রকাশ না করতে। ইদং তে নাতপঙ্কায় নাভক্তায় কদাচন।  ন চাশুশ্রূষবে বাচ্যং ন চ মাং যোঽভ্যসূয়তি৷৷  (শ্রীমদ্ভগবদগীতা:১৮.৬৭) "এই গীতারূপ রহস্যময় উপদেশ কখনও তপস্যাহীন, ভক্তিহীন, এবং শুনতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের বলবে না, আর যারা আমার প্রতি দোষদৃষ্টি রাখে তাদের তো কখনও বলবে না।" ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অধিকারীহীন অনাগ্রহীদের কাছে রহস্যময় শাশ্বত জ্ঞান বলতে নিষেধ করছেন। কিন্তু তিনি ভক্তদের কাছে প্রচার করতে বলেছেন। সাথে তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, পরম গুহ্য গীতাশাস্ত্র ভক্তগণের নিকট ব্যক্ত করবেন তিনি ভগবানকেই প্রাপ্ত হবেন। য ইমং পরমং গুহ্যং মদ্ভক্তেষ্কভিধাস্যতি। ভক্তিং ময়ি পরাং কৃত্বা মামেবৈষ্যত্যসংশয়ঃ৷৷ (শ্রীমদ্ভগবদগীতা:১৮.৬৮) "যিনি আমার প্রতি পরম ভক্তিপূর্বক এই পরম গুহ্য গীতাশাস্ত্র আমার ভক্তগণের নিকট বলবেন, তিনি আমাকেই প্রাপ্ত হবেন—এতে কোনো সন্দেহ নেই।" কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী  সহকারী অধ্যাপক,  সংস্কৃত বিভাগ,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শাশ্বত ধর্মের কথা সকলেই বোঝে না এবং বোঝার সাধ্যও নেই। তাই ধর্মের শাশ্বত বাণী যোগ্য অধিকারী ছাড়া বলতে নেই। কারণ সকলেই সকল কিছু ধারণ করতে পারে না। সকলের ধারণ ক্ষমতার পাত্রে এক নয়। মহাভারতে বলেছে, যে ব্যক্তি শাসনযোগ্য নয়, অর্থাৎ অনুশাসন মান্য করে না; ধর্ম এবং শাস্ত্রের প্রতি যার সামান্যতম একনিষ্ঠতা নেই; যিনি জ্ঞান অর্জন এবং জ্ঞানদাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়; যার মন অত্যন্ত কুটিলতা দ্বারা বিভ্রান্ত ; এ সকল বৈশিষ্ট্যধারীদের কাছে কখনো শাশ্বত ধর্মের কথা বলতে নেই। এতে অপাত্রে মুক্তা ছড়ানো হবে।
ন চাশিষ্যাযাব্রতাযোপকুৰ্য্যান্না-
শ্রদ্দধানায় ন বক্রবুদ্ধয়ে ৷
গুহ্যো হ্যষং সর্বলোকস্য ধর্মো
নেমং ধৰ্মং যত্র তত্র প্ৰজল্পেৎ ॥
(মহাভারত :অনুশাসন পর্ব, ৬১.২২)
"যে লোক শাসনযোগ্য নয়, ব্রতী নয়, শ্রদ্ধাশীল নয়, কিংবা সরল বুদ্ধির নয়; তাদের কাছে ধর্মের কথা বলবে না। অযোগ্যদের কাছে যেখানে সেখানে ধর্মের কথা বলবে না, গোপন রাখবে।"
শাশ্বত ধর্ম যে যে যেখানে সেখানে ব্যক্ত করা যায় না, এ বিষয়টি শ্রীমদভগবদগীতায় বলা হয়েছে। সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, এই গীতারূপ রহস্যময় উপদেশ কখনও ধর্মকে যিনি নিজ জীবনে সাধন করে মূর্তিমান করেন না সেই তপস্যাহীন, ভক্তিহীন ব্যক্তিদের কাছে মুক্তিপ্রদ রহস্যময় বিদ্যা না বলতে। মনুষ্য জন্ম শুধু একটি জন্মেই সীমাবদ্ধ নয়। জগতে কেউ এক জন্মেই মুক্তিলাভ করবে না। যোগ্য অধিকারী বিহীন জন্ম জন্মান্তরের আবর্তনে আবর্তিত হতে হয়। জীবের বহু জন্মের পুণ্যের ফলে মনুষ্যজন্ম লাভ হয়। কিন্তু সেই মনুষ্য, তার মনুষ্য জন্মের প্রধান উদ্দেশ্য মুক্তির কথা ভুলে অন্য সকল গৌণ বিষয় নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়। এতে সে অন্ধকার থেকে আরও অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুক্তির পথ থেকে দূরে চলে যায়। জগতে কেউ পরম উপকারী দুধ বিক্রি করে, সেই অর্থে মদ পান করে। আবার কেউ মদ বিক্রি করে, সেই অর্থে শরীরকে পরিপোষণের জন্য দুধ পান করে। একারণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, রহস্যময় ব্রহ্মবিদ্যা জানতে অনাগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে তা প্রকাশ না করতে।
ইদং তে নাতপঙ্কায় নাভক্তায় কদাচন।
ন চাশুশ্রূষবে বাচ্যং ন চ মাং যোঽভ্যসূয়তি৷৷
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:১৮.৬৭)
"এই গীতারূপ রহস্যময় উপদেশ কখনও তপস্যাহীন, ভক্তিহীন, এবং শুনতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের বলবে না, আর যারা আমার প্রতি দোষদৃষ্টি রাখে তাদের তো কখনও বলবে না।"
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অধিকারীহীন অনাগ্রহীদের কাছে রহস্যময় শাশ্বত জ্ঞান বলতে নিষেধ করছেন। কিন্তু তিনি ভক্তদের কাছে প্রচার করতে বলেছেন। সাথে তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, পরম গুহ্য গীতাশাস্ত্র ভক্তগণের নিকট ব্যক্ত করবেন তিনি ভগবানকেই প্রাপ্ত হবেন।
য ইমং পরমং গুহ্যং মদ্ভক্তেষ্কভিধাস্যতি।
ভক্তিং ময়ি পরাং কৃত্বা মামেবৈষ্যত্যসংশয়ঃ৷৷
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:১৮.৬৮)
"যিনি আমার প্রতি পরম ভক্তিপূর্বক এই পরম গুহ্য
গীতাশাস্ত্র আমার ভক্তগণের নিকট বলবেন, তিনি আমাকেই প্রাপ্ত হবেন—এতে কোনো সন্দেহ নেই।"
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।

মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁