-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

বায়ুর গৃহমধ্যে অক্সিজেন নামক, জীবনদায়ী অমৃতের নিধি সংস্থাপিত।

পৃথিবীতে মনুষ্যসহ সকল প্রাণী বায়ুর সমুদ্রে ভেসে আছে। মাছ যেমন জলের মধ্যে বাস করে এবং জল ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না।তেমনি মানুষও বায়ুর সমুদ্রে ভেসে, বায়ু ছাড়া একদণ্ডও বেঁচে থাকতে পারে না। বায়ু সমুদ্রে সর্বক্ষণ বসবাস করেও অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে না। তাই তারা জ্ঞানত বা অজ্ঞানতসারে প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে চলছে। শুষ্ক বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন,২০.৯৫% অক্সিজেন, ০.৯৩% আর্গন, ০.০৩% কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস থাকে। শুধু কিছু প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে। সেই ব্যাকটেরিয়াদের বাদ দিয়ে সকল প্রাণীর জন্যই অক্সিজেন অত্যন্ত আবশ্যকীয়। মানুষ খাদ্য থেকে শক্তি গ্রহণ করার জন্য অক্সিজেন ব্যবহার করে।নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আসা অক্সিজেন জীব শরীরে প্রবেশ করে শরীরের অভ্যন্তরে শক্তি তৈরি করে । সেই শক্তি দিয়েই মানুষ পেশি চালনা করে, হাত পা চালনা করে এবং সচল থাকে। শক্তি তৈরির এই প্রক্রিয়াকে বলে শ্বসন। শ্বসনের মূল সংঘটক হল অক্সিজেন এবং উৎপাদ হল জল ও কার্বন ডাই অক্সাইড। স্থলচর প্রাণীরা বায়ুমণ্ডল থেকে এবং জলজ প্রাণীরা জল থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে । উদ্ভিদেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হয় । তবে তারা যতটুকু অক্সিজেন নেয়, তার চেয়ে বেশি ছেড়ে দেয় । উদ্ভিদ কার্বন ডাই অক্সাইড সূর্যের আলো এবং জল ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাবার তৈরি করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার উৎপাদ হলো অক্সিজেন, যা উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। নিঃশ্বাস গ্রহণ সময় বাতাস জীব শরীরে প্রবেশ করে এবং যখন নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়া হয় তখন বাতাস বের হয়ে যায় । তবে নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় যে বাতাস জীব শরীরে প্রবেশ করে এবং নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়ার সময় যা বের হয়ে যায়, এ দুটো এক নয় । নিঃশ্বাস গ্রহণের সময়ে বাতাসের এক-পঞ্চমাংশ হল অক্সিজেন আর শ্বাস ত্যাগের বাতাসের অধিকাংশই কার্বন ডাই-অক্সাইড । নিঃশ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অক্সিজেনই জীবকে বাঁচিয়ে রাখে। বায়ুই জীব শরীরকে বাঁচিয়ে রাখে। এ বিষয়টি ঋগ্বেদ সংহিতায় উল নামক ঋষি গায়ত্রী ছন্দে অত্যন্ত সুন্দর করে বলেছেন: বাত আ বাতু ভেষজং শম্ভু, ময়োভু নো হৃদে ।  প্র ণ আয়ূঁ ষি তারিষৎ ॥  উত বাত পিতাসি ন উত ভ্ৰতোত নঃ সখা ।  স নো জীবাতবে কৃধি।।  বদদো বাত তে গৃহেঽমৃতস্য নিধির্হিতঃ ।  ততো নো দেহি জীবসে ॥  (ঋগ্বেদ সংহিতা: ১০.১৮৬.১-৩) " বায়ু, ঔষধের ন্যায় দিকেদিকে প্রবাহিত হোক! বায়ুর প্রবাহমানতা কল্যাণ, সুখ এবং দীর্ঘ জীবন দান করে।  বায়ু আমাদের পিতার মত পালক, ভাইয়ের মত প্রিয়জন, বন্ধুর মত শুভাকাঙ্ক্ষী এবং জীবনদানকারী ঔষধস্বরূপ।  হে বায়ু! তোমার গৃহমধ্যে অমৃতের নিধি সংস্থাপিত, সেই অমৃত প্রদান করে আমাদের জীবনকে সঞ্চারিত কর।" বায়ুই ঔষধের ন্যায় দিকেদিকে প্রবাহিত কল্যাণ প্রদান করে, সুখ প্রদান করে এবং দীর্ঘ জীবন প্রদান করে। এ বায়ুই প্রাণবায়ু নামে জীবকে বাঁচিয়ে রাখে। বেদমন্ত্রে বলা হয়েছে যে, বায়ুর গৃহমধ্যে অমৃতের নিধি সংস্থাপিত।সেই অমৃতের নিধি হলো অক্সিজেন। যে অক্সিজেন ছাড়া জীব বেঁচে থাকতে পারে না। শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
পৃথিবীতে মনুষ্যসহ সকল প্রাণী বায়ুর সমুদ্রে ভেসে আছে। মাছ যেমন জলের মধ্যে বাস করে এবং জল ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না।তেমনি মানুষও বায়ুর সমুদ্রে ভেসে, বায়ু ছাড়া একদণ্ডও বেঁচে থাকতে পারে না। বায়ু সমুদ্রে সর্বক্ষণ বসবাস করেও অধিকাংশ মানুষই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে না। তাই তারা জ্ঞানত বা অজ্ঞানতসারে প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে চলছে। শুষ্ক বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন,২০.৯৫% অক্সিজেন, ০.৯৩% আর্গন, ০.০৩% কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস থাকে। শুধু কিছু প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে। সেই ব্যাকটেরিয়াদের বাদ দিয়ে সকল প্রাণীর জন্যই অক্সিজেন অত্যন্ত আবশ্যকীয়। মানুষ খাদ্য থেকে শক্তি গ্রহণ করার জন্য অক্সিজেন ব্যবহার করে।নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আসা অক্সিজেন জীব শরীরে প্রবেশ করে শরীরের অভ্যন্তরে শক্তি তৈরি করে । সেই শক্তি দিয়েই মানুষ পেশি চালনা করে, হাত পা চালনা করে এবং সচল থাকে। শক্তি তৈরির এই প্রক্রিয়াকে বলে শ্বসন। শ্বসনের মূল সংঘটক হল অক্সিজেন এবং উৎপাদ হল জল ও কার্বন ডাই অক্সাইড। স্থলচর প্রাণীরা বায়ুমণ্ডল থেকে এবং জলজ প্রাণীরা জল থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে । উদ্ভিদেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হয় । তবে তারা যতটুকু অক্সিজেন নেয়, তার চেয়ে বেশি ছেড়ে দেয় । উদ্ভিদ কার্বন ডাই অক্সাইড সূর্যের আলো এবং জল ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাবার তৈরি করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার উৎপাদ হলো অক্সিজেন, যা উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। নিঃশ্বাস গ্রহণ সময় বাতাস জীব শরীরে প্রবেশ করে এবং যখন নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়া হয় তখন বাতাস বের হয়ে যায় । তবে নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় যে বাতাস জীব শরীরে প্রবেশ করে এবং নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়ার সময় যা বের হয়ে যায়, এ দুটো এক নয় । নিঃশ্বাস গ্রহণের সময়ে বাতাসের এক-পঞ্চমাংশ হল অক্সিজেন আর শ্বাস ত্যাগের বাতাসের অধিকাংশই কার্বন ডাই-অক্সাইড । নিঃশ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অক্সিজেনই জীবকে বাঁচিয়ে রাখে। বায়ুই জীব শরীরকে বাঁচিয়ে রাখে। এ বিষয়টি ঋগ্বেদ সংহিতায় উল নামক ঋষি গায়ত্রী ছন্দে অত্যন্ত সুন্দর করে বলেছেন:
বাত আ বাতু ভেষজং শম্ভু, ময়োভু নো হৃদে ।
প্র ণ আয়ূঁ ষি তারিষৎ ॥
উত বাত পিতাসি ন উত ভ্ৰতোত নঃ সখা ।
স নো জীবাতবে কৃধি।।
বদদো বাত তে গৃহেঽমৃতস্য নিধির্হিতঃ ।
ততো নো দেহি জীবসে ॥
(ঋগ্বেদ সংহিতা: ১০.১৮৬.১-৩)
" বায়ু, ঔষধের ন্যায় দিকেদিকে প্রবাহিত হোক! বায়ুর প্রবাহমানতা কল্যাণ, সুখ এবং দীর্ঘ জীবন দান করে।
বায়ু আমাদের পিতার মত পালক, ভাইয়ের মত প্রিয়জন, বন্ধুর মত শুভাকাঙ্ক্ষী এবং জীবনদানকারী ঔষধস্বরূপ।
হে বায়ু! তোমার গৃহমধ্যে অমৃতের নিধি সংস্থাপিত, সেই অমৃত প্রদান করে আমাদের জীবনকে সঞ্চারিত কর।"
বায়ুই ঔষধের ন্যায় দিকেদিকে প্রবাহিত কল্যাণ প্রদান করে, সুখ প্রদান করে এবং দীর্ঘ জীবন প্রদান করে। এ বায়ুই প্রাণবায়ু নামে জীবকে বাঁচিয়ে রাখে। বেদমন্ত্রে বলা হয়েছে যে, বায়ুর গৃহমধ্যে অমৃতের নিধি সংস্থাপিত।সেই অমৃতের নিধি হলো অক্সিজেন। যে অক্সিজেন ছাড়া জীব বেঁচে থাকতে পারে না।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।

মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁