-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

আলো দিতে কত পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ।

আলো দিতে কত পোড়ে  কত প্রদীপের প্রাণ  অধিকাংশ মানুষই কাছের মানুষের অবদানকে ভুলে যায়। তাদের অবদান এবং ভালবাসাকে যথাযথ সময়ে মূল্যায়ন করতে পারে না। অবজ্ঞায় অবহেলায় সেই ব্যক্তিটি যখন দূরে চলে যায়, তখন উপলব্ধি করতে পারে তার অবদান। বিষয়টি কবি নজরুল ইসলামের একটি গানে অত্যন্ত সুন্দর করে আছে।কবি বলেছেন, গান সমাপ্ত হয়ে গেলে গানের পাখিকে কেউ মনে রাখে না। সবাই চাঁদের জ্যোৎস্নাকে চায়, কিন্তু এ জ্যোৎস্নার উৎস চাঁদকে কেউ খুঁজতে যায় না। সবাইকে প্রতিনিয়ত আলো দিতে কত প্রদীপের প্রাণ যে পুড়ে কাল হয়ে যাচ্ছে; আমরা কতজন এর খবর রাখি। জগতে একজনকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে গিয়ে আরেকজন হয়ত নিঃশব্দে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, আমরা টেরই পাচ্ছি না।ভালবাসার প্রকাশ কেউ করতে পারে, অনেকেই পারে না; তাদের ভালবাসা আমৃত্যু অপ্রকাশিতই থেকে যায়। "বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান । চাঁদেরে কে চায় জোসনা সবাই যাচে গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে তুমি বুঝিবে না আলো দিতে কত পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ । যে কাটা লতার আখিঁজল ফুল হয়ে উঠে ফুটে ফুল নিয়ে তার দিয়েছো কি কিছু শূন্য পত্র পুটে । সবাই তৃষ্ণা মেটায় নদীর জলে কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান।" মানুষের মন বড় জটিল এবং রহস্যময়। প্রয়োজনে অনেককেই চায়। কিন্তু প্রয়োজন শেষে সে প্রকৃত স্বরূপে চলে। গুটিকয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ মানুষ এমন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর নেই। বনের পাখি হয়তো কিছুই প্রত্যাশা করে না কারো কাছে, সে শুধু নিজের মনেই গান গেয়ে যায়। কারণ গান গাইতে এবং গান শোনাতে তার ভালো লাগে। বনের পাখির মত সমাজে এমন কত মানুষ রয়েছে, যারা নিঃস্বার্থভাবে সমাজের কল্যাণে করে যায়। বিনিময়ে কিছুই প্রতিদান তারা চায় না। শ্রীশঙ্করাচার্য তাঁর 'বিবেকচূড়ামণি' গ্রন্থে স্বার্থহীন হয়ে জগতের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া মানুষদের প্রসঙ্গে বলেছেন: শান্তা মহান্তো নিবসন্তি সন্তো বসন্তবল্লোকহিতং চরন্তঃ। তীর্ণাঃ স্বয়ং ভীমভবার্ণবং জনানহেতুনাঽন্যানপি তারয়ন্তঃ।। অয়ং স্বভাবং স্বত এব যৎ পর- শ্রমাপনোদপ্রবণং মহাত্মনাম্। সুধাংশুরেষ স্বয়মর্ককর্কশ- প্রভাভিতপ্তামবতি ক্ষিতিং কিল।। (বিবেকচূড়ামণি: ৩৭-৩৮) "বসন্ত ঋতু যেমন অযাচিত ভাবে এবং কোন প্রকার ফলাকাঙ্খী না হয়ে পত্র-পুষ্প ফলের বিচিত্র সম্ভার দান করে জগতের সুখ বর্দ্ধন করে, স্নিগ্ধ চন্দ্ৰ যেমন মার্তণ্ডতাপিত পৃথিবীকে তৃপ্ত করে। শান্ত, মহান, সন্ত মহাত্মাগণ তেমনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে স্বয়ং দুস্তর সমুদ্র পার হয়ে, অপরের দুঃখমোচন, কল্যাণ এবং মুক্তির জন্য দেহধারণ করে সর্বজীবের শুধু সেবাই করে যান।" প্রদীপ শুধু আলোই দিয়ে যায়। সে আলোতে আমরা দেবতার আরাধনা করি। দেবতার কাছে কত কিছু প্রার্থনা করি। দেবতা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের মনের বাসনা পূর্ণ করেন। কিন্তু একবার কখনো কি আমরা ভেবে দেখি- এ দেবতার আরাধনায় ব্যবহৃত প্রদীপটির কথা। নিঃস্বার্থভাবে আলো দিতে দিতে প্রদীপের প্রাণটি পুড়ে যাচ্ছে। কুচকুচে কালো কয়লার মত হয়ে যাচ্ছে প্রদীপটি। আগুনে পুড়তে পুড়তে এ প্রদীপের বুকেও তো তৃষ্ণা জাগে। সেই তৃষ্ণার কথা আমরা কথা, কখনো ভেবেছি কি? চাইলেও তো প্রদীপের বুকের তৃষ্ণা নিবারণে জলের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু সাধ্য থাকলেও আমরা তা করি না। মাটির প্রদীপটি যখন এভাবে পুড়তে পুড়তে কালো হয়ে যায়; তখন আমরা সেই প্রদীপটিকে পরিত্যাগ করি। সেই স্থানে শুরু হয় নতুন একটি প্রদীপের আলো প্রদানের পথচলা। এভাবেই চলে যুগযুগান্তর থেকে অন্যের জন্যে আলো বিলিয়ে স্বার্থহীনভাবে প্রদীপের জীবনপ্রবাহ। সেই পাঠশালা থেকে শুরু করে প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রদীপের মত নিঃস্বার্থভাবে কত শিক্ষকেরা আমাদের জীবনে আলো বিলিয়ে গেছেন। আজ বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারব, সেই আলোদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে কয়জনকে আমরা মনে রেখেছি? আমাদের প্রত্যেকরের জীবনের সেই আলোর পথের সারথিদের অধিকাংশকেই আমরা মনে রাখেনি। কারণ মনুষ্যের মধ্যে কৃতঘ্নতার মানসিকতা, জগতের অন্য জাতির মধ্যে নেই। সেই আলো দানকারী শিক্ষকদের স্মরণ করা সম্মান করা দূরে থাক; সামান্য স্বার্থে আমরা তাদের অসম্মানিত করতেও সামান্যতম পিছপা হই না।   কয়েকবছর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নিউজে দেখেছিলাম, কক্সবাজারের একজন সংসদ সদস্য তার নিজের শিক্ষক, যিনি বয়সে প্রবীণ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন। ঘটনাটি হয়ত ছোট্ট  দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়নি। কিন্তু এই ঘটনাগুলো আমাদের সমাজের নির্মম বিষদাঁত যুক্ত চেহারাকে প্রকট করে। শারিরিকভাবেও লাঞ্চিত করার পাশাপাশি ঐ প্রবীণ শিক্ষককে ও তার ছেলেকে গুম করার হুমকিও দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় দুপুরবেলা জনসমক্ষে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে এ ঘটনায় চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠে। হতভাগ্য ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার শর্মা। তিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি রামুর উত্তর কাহাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সংসদ সদস্য সহ তার সকল ভাই-বোনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় শিক্ষক সুনীল শর্মার হাতে। চন্দ্র যেমন নিঃস্বার্থভাবে কিরণ বিলিয়ে যায়; সূর্য যেমন নিঃস্বার্থভাবে আলো বিলিয়ে যায়; পৃথিবী যেমন নিঃস্বার্থভাবে শস্যকণা দান করে; বাতাস যেমন নিঃস্বার্থভাবে জগতকে প্রাণস্পন্দিত করে রাখে ; ঠিক এমনিভাবেই মহান ব্যক্তিরা জগতের কল্যাণ করে যায়।স্বার্থহীনভাবে অন্যের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিরা যেহেতু প্রচার থেকে দূরে থাকেন। প্রচারের অভাবে সেই ব্যক্তিদের অনেককেই আমরা আজ ভুলে গেছি। আমরা মনে রাখি তাদের, যাদের একটি গোষ্ঠীবদ্ধ পরম্পরা আছে। সেই ধারাবাহিক পরম্পরার উত্তরপুরুষরাই পূর্ববর্তীদের কথা স্মরণ করে। কিন্তু এর থেকেও মহানকর্ম করা ব্যক্তিরা সমাজ থেকে হারিয়ে যায় শুধুই গোষ্ঠীবদ্ধ ধারাবাহিক উত্তরপুরুষের অভাবে।  কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী  সহকারী অধ্যাপক,  সংস্কৃত বিভাগ,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
অধিকাংশ মানুষই কাছের মানুষের অবদানকে ভুলে যায়। তাদের অবদান এবং ভালবাসাকে যথাযথ সময়ে মূল্যায়ন করতে পারে না। অবজ্ঞায় অবহেলায় সেই ব্যক্তিটি যখন দূরে চলে যায়, তখন উপলব্ধি করতে পারে তার অবদান। বিষয়টি কবি নজরুল ইসলামের একটি গানে অত্যন্ত সুন্দর করে আছে।কবি বলেছেন, গান সমাপ্ত হয়ে গেলে গানের পাখিকে কেউ মনে রাখে না। সবাই চাঁদের জ্যোৎস্নাকে চায়, কিন্তু এ জ্যোৎস্নার উৎস চাঁদকে কেউ খুঁজতে যায় না। সবাইকে প্রতিনিয়ত আলো দিতে কত প্রদীপের প্রাণ যে পুড়ে কাল হয়ে যাচ্ছে; আমরা কতজন এর খবর রাখি। জগতে একজনকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে গিয়ে আরেকজন হয়ত নিঃশব্দে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, আমরা টেরই পাচ্ছি না।ভালবাসার প্রকাশ কেউ করতে পারে, অনেকেই পারে না; তাদের ভালবাসা আমৃত্যু অপ্রকাশিতই থেকে যায়।
"বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান ।
চাঁদেরে কে চায় জোসনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে
তুমি বুঝিবে না
আলো দিতে কত পোড়ে
কত প্রদীপের প্রাণ ।
যে কাটা লতার আখিঁজল
ফুল হয়ে উঠে ফুটে
ফুল নিয়ে তার দিয়েছো কি কিছু
শূন্য পত্র পুটে ।
সবাই তৃষ্ণা মেটায় নদীর জলে
কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে
বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান।"
মানুষের মন বড় জটিল এবং রহস্যময়। প্রয়োজনে অনেককেই চায়। কিন্তু প্রয়োজন শেষে সে প্রকৃত স্বরূপে চলে। গুটিকয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ মানুষ এমন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর নেই। বনের পাখি হয়তো কিছুই প্রত্যাশা করে না কারো কাছে, সে শুধু নিজের মনেই গান গেয়ে যায়। কারণ গান গাইতে এবং গান শোনাতে তার ভালো লাগে। বনের পাখির মত সমাজে এমন কত মানুষ রয়েছে, যারা নিঃস্বার্থভাবে সমাজের কল্যাণে করে যায়। বিনিময়ে কিছুই প্রতিদান তারা চায় না। শ্রীশঙ্করাচার্য তাঁর 'বিবেকচূড়ামণি' গ্রন্থে স্বার্থহীন হয়ে জগতের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া মানুষদের প্রসঙ্গে বলেছেন:
শান্তা মহান্তো নিবসন্তি সন্তো
বসন্তবল্লোকহিতং চরন্তঃ।
তীর্ণাঃ স্বয়ং ভীমভবার্ণবং
জনানহেতুনাঽন্যানপি তারয়ন্তঃ।।
অয়ং স্বভাবং স্বত এব যৎ পর-
শ্রমাপনোদপ্রবণং মহাত্মনাম্।
সুধাংশুরেষ স্বয়মর্ককর্কশ-
প্রভাভিতপ্তামবতি ক্ষিতিং কিল।।
(বিবেকচূড়ামণি: ৩৭-৩৮)
"বসন্ত ঋতু যেমন অযাচিত ভাবে এবং কোন প্রকার ফলাকাঙ্খী না হয়ে পত্র-পুষ্প ফলের বিচিত্র সম্ভার দান করে জগতের সুখ বর্দ্ধন করে, স্নিগ্ধ চন্দ্ৰ যেমন মার্তণ্ডতাপিত পৃথিবীকে তৃপ্ত করে। শান্ত, মহান, সন্ত মহাত্মাগণ তেমনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে স্বয়ং দুস্তর সমুদ্র পার হয়ে, অপরের দুঃখমোচন, কল্যাণ এবং মুক্তির জন্য দেহধারণ করে সর্বজীবের শুধু সেবাই করে যান।"
প্রদীপ শুধু আলোই দিয়ে যায়। সে আলোতে আমরা দেবতার আরাধনা করি। দেবতার কাছে কত কিছু প্রার্থনা করি। দেবতা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের মনের বাসনা পূর্ণ করেন। কিন্তু একবার কখনো কি আমরা ভেবে দেখি- এ দেবতার আরাধনায় ব্যবহৃত প্রদীপটির কথা। নিঃস্বার্থভাবে আলো দিতে দিতে প্রদীপের প্রাণটি পুড়ে যাচ্ছে। কুচকুচে কালো কয়লার মত হয়ে যাচ্ছে প্রদীপটি। আগুনে পুড়তে পুড়তে এ প্রদীপের বুকেও তো তৃষ্ণা জাগে। সেই তৃষ্ণার কথা আমরা কথা, কখনো ভেবেছি কি? চাইলেও তো প্রদীপের বুকের তৃষ্ণা নিবারণে জলের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু সাধ্য থাকলেও আমরা তা করি না। মাটির প্রদীপটি যখন এভাবে পুড়তে পুড়তে কালো হয়ে যায়; তখন আমরা সেই প্রদীপটিকে পরিত্যাগ করি। সেই স্থানে শুরু হয় নতুন একটি প্রদীপের আলো প্রদানের পথচলা। এভাবেই চলে যুগযুগান্তর থেকে অন্যের জন্যে আলো বিলিয়ে স্বার্থহীনভাবে প্রদীপের জীবনপ্রবাহ। সেই পাঠশালা থেকে শুরু করে প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রদীপের মত নিঃস্বার্থভাবে কত শিক্ষকেরা আমাদের জীবনে আলো বিলিয়ে গেছেন। আজ বুকে হাত দিয়ে কি বলতে পারব, সেই আলোদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে কয়জনকে আমরা মনে রেখেছি? আমাদের প্রত্যেকরের জীবনের সেই আলোর পথের সারথিদের অধিকাংশকেই আমরা মনে রাখেনি। কারণ মনুষ্যের মধ্যে কৃতঘ্নতার মানসিকতা, জগতের অন্য জাতির মধ্যে নেই। সেই আলো দানকারী শিক্ষকদের স্মরণ করা সম্মান করা দূরে থাক; সামান্য স্বার্থে আমরা তাদের অসম্মানিত করতেও সামান্যতম পিছপা হই না।
কয়েকবছর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নিউজে দেখেছিলাম, কক্সবাজারের একজন সংসদ সদস্য তার নিজের শিক্ষক, যিনি বয়সে প্রবীণ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন। ঘটনাটি হয়ত ছোট্ট
দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়নি। কিন্তু এই ঘটনাগুলো আমাদের সমাজের নির্মম বিষদাঁত যুক্ত চেহারাকে প্রকট করে। শারিরিকভাবেও লাঞ্চিত করার পাশাপাশি ঐ প্রবীণ শিক্ষককে ও তার ছেলেকে গুম করার হুমকিও দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকায় দুপুরবেলা জনসমক্ষে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে এ ঘটনায় চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠে। হতভাগ্য ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার শর্মা। তিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি রামুর উত্তর কাহাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সংসদ সদস্য সহ তার সকল ভাই-বোনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় শিক্ষক সুনীল শর্মার হাতে।
চন্দ্র যেমন নিঃস্বার্থভাবে কিরণ বিলিয়ে যায়; সূর্য যেমন নিঃস্বার্থভাবে আলো বিলিয়ে যায়; পৃথিবী যেমন নিঃস্বার্থভাবে শস্যকণা দান করে; বাতাস যেমন নিঃস্বার্থভাবে জগতকে প্রাণস্পন্দিত করে রাখে ; ঠিক এমনিভাবেই মহান ব্যক্তিরা জগতের কল্যাণ করে যায়।স্বার্থহীনভাবে অন্যের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিরা যেহেতু প্রচার থেকে দূরে থাকেন। প্রচারের অভাবে সেই ব্যক্তিদের অনেককেই আমরা আজ ভুলে গেছি। আমরা মনে রাখি তাদের, যাদের একটি গোষ্ঠীবদ্ধ পরম্পরা আছে। সেই ধারাবাহিক পরম্পরার উত্তরপুরুষরাই পূর্ববর্তীদের কথা স্মরণ করে। কিন্তু এর থেকেও মহানকর্ম করা ব্যক্তিরা সমাজ থেকে হারিয়ে যায় শুধুই গোষ্ঠীবদ্ধ ধারাবাহিক উত্তরপুরুষের অভাবে।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁