কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সহ সকল সম্প্রদায়ের একতার প্রতীক।বর্তমানে দেশে যেভাবে মৌলবাদী, প্রগতিবিরোধী শক্তি রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বস্তরে ঘাটি গেরেছে তাতে লালন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মতো বাতিঘরদের একান্ত প্রয়োজন জাতীয় জীবনে। নচেৎ এ রাষ্ট্রটি উল্টো পথে চলতে থাকবে। কণ্টকাকীর্ণ মরু সংস্কৃতি আমাদের গন্তব্য নয়, আমাদের গন্তব্য শস্যশ্যামলা বঙ্গমাতার স্নেহের আঁচল।১৯৭১ এর মূল্যবোধে জন্ম নেয়ে এ রাষ্ট্রটি যদি তার আলোকবর্তিকাদের না চেনে; তবে বাঙালির শাশ্বত চেতনা পরে রইবে শুধুই বইয়ের পাতায়। সাম্যের কবি নজরুল। মধ্যযুগের খ্যাতিমান বাঙালি কবি চণ্ডীদাসের মত তিনিও ঘোষণা করেছেন যে, মানুষের চেয়ে বড় কিছু আর জগতে নেই। মানুষের থেকে মহৎ মহীয়ান কিছুই নেই। এ কারণে এই বঙ্গের বাউল কবিরা মানুষের ভিতরেই সেই অমূল্য রতনকে খুঁজেছেন। সেই অচিন পাখি যাকে ধরাছোঁয়া যায় না, তার খোঁজ করেছেন। কবি নজরুলের ভাষায়:
"গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান
নাই দেশ- কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।"
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।