-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

"মিত্রদ্রোহে চ পাতকম্ ", অকারণে বন্ধুত্ব নষ্ট করতে নেই।

চাণক্য বলেছেন, বন্ধু তাকেই বলে যিনি, সকল প্রকার আনন্দের দিনে, দুর্দিনে, দুর্ভিক্ষ মহামারীতে, যুদ্ধে শত্রুবেষ্টিত অবস্থায়, বিচারালয়ে এবং শ্মশান ঘাটে যে বন্ধুর সকল প্রকার বিপদে উপস্থিত হয়, তাকে বন্ধু বলে। বন্ধুর মৃত্যুতে শ্মশানে উপস্থিতি হলে, তখন বন্ধু হয়ত দেখতে পান না। কিন্তু এরপরেও তার যাওয়া কর্তব্য। শ্মশানবন্ধু মহত্তর বন্ধু,তাই শ্মশানবন্ধুদের আদ্যশ্রাদ্ধে আলাদা করে চিড়াদধি দিয়ে আপ্যায়ন করতে হয়। আজও আমরা দেখি রাজদ্বারে বা বিচারালয়ে কোন বন্ধু যখন মামলাতে জড়িয়ে যায়, আমরা অনেকেই তখন সাহায্য না করে উল্টো এমন আচরণ করি, যাতে প্রকাশ হয় যে তাকে চিনিই না। আমাদের স্বভাব হল, অনেকটা গা বাঁচিয়ে চলা। সামান্য বিপদের গন্ধ পেলেই আমারা ইনিয়ে বিনিয়ে কথার ছুতো দিয়ে পলায়ন করি। আমাদের বাঙালি প্রবাদবাক্য তো আছেই, "চাচা আপনপ্রাণ বাঁচা।"

"মিত্রদ্রোহে চ পাতকম্ ",  অকারণে বন্ধুত্ব নষ্ট করতে নেই।

উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে শত্রুবিগ্রহে।
রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ।।
(চাণক্য শ্লোক : ১০)
"যে উৎসবের সময়, চরম বিপদের সময়, দুর্ভিক্ষ খাদ্যাভাবে, শত্রুর পরিবেষ্টিত অবস্থায়, রাজদ্বারে বিচারালয়ে এবং শ্মশানঘাটে সর্বদাই সয়ায় এবং পাশে থাকে তাকেই কেবলমাত্র বন্ধু বলে।"
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা বন্ধুত্বের মর্যাদাকে রক্ষা করতে পারিনা। সামান্যতম স্বার্থে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হেলদোল করে। অনেক সময় দেখি, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে মানুষ থেকে কুকুর বা প্রাণীর বন্ধুত্ব অনেক বিশ্বস্তের হয়। একটি কুকুরের সাথে যদি বন্ধুত্ব হয়, কুকুরটি আমৃত্যু সে বন্ধুত্বকে রক্ষা করে। মানুষের মত অকৃতজ্ঞতা কৃতঘ্নতা সাধারণত করে না। কিন্তু আমরা মানুষেরা, স্বার্থে ঘা পড়লে যখন তখন চোখ উল্টে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে অস্বীকার করে ফেলি।
পোষ্যকুকুরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা আমরা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনেও দেখতে পাই। বেলুড় মঠে বাঘা নামে একটি দেশী কুকুর ছিল। স্বামী বিবেকানন্দের সাথে কুকুরটির এক পরম বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। স্বামী বিবেকানন্দ প্রত্যেকটি জীবকেই শিবজ্ঞানে দেখতেন। তিনি ছিলেন জীবন্মুক্ত আত্মবিৎপুরুষ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা অনুসারে, এ অবস্থায় মানুষ বিদ্যা-বিনয়সম্পন্ন ব্রাহ্মণ, গাভী, হস্তী, কুকুর ও চণ্ডাল জগতের ক্ষুদ্র বৃহৎ সকলকেই সমানদৃষ্টিতে দেখেন।
বিদ্যাবিনয়সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি ।
শুনি চৈব শ্বপাকে চ পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ ॥
(গীতা:৫. ১৮)
"আত্মবিৎ পণ্ডিতেরা বিদ্যা-বিনয়সম্পন্ন ব্রাহ্মণ, গাভী, হস্তী, কুকুর ও চণ্ডাল সকলের প্রতি সমদর্শী হন।"
একদিন কুকুরটি পূজা অসম্পন্ন অবস্থাতেই ঠাকুরের ভোগে মুখ দিয়ে ফেলে, তখন মঠের কয়েকজন সন্ন্যাসীরা কুকুরটির উপরে বিরক্ত হয়ে তাকে নির্বাসনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। স্বামী বিবেকানন্দ তখন মঠে ছিলেন না। স্বামীজী সন্ধ্যায় মঠে ফিরে শুনলেন সবাই মিলে বাঘাকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে গঙ্গার ওপারে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। স্বামীজী ঘটনাটিতে প্রচণ্ড দুঃখ পান এবং এ কাজটি যে সন্ন্যাসীরা করেছে তাদের তিরস্কৃত করেন।স্বামীজীর প্রিয় বাঘা কিন্তু মঠকে ছাড়বার পাত্র নয়। সাধুরা তাকে গঙ্গা পার করে ওপারে দক্ষিণেশ্বরে দিকে দিয়ে আসলেও, বাঘা কুকুরটিও পরবর্তীতে বেলুড় মঠে আসার জন্যে সুযোগ বুঝে আরেকটি ফিরতি নৌকায় উঠে পড়ে। মাঝিরা কোনমতেই তাকে নৌকা থেকে নামাতে পারে না। নামাতে গেলে সে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসে। নিরুপায় মাঝিরা বাঘা কুকুরটিকে অন্য যাত্রীদের সাথে অবশেষে বেলুড়ের ঘাটে পৌঁছে দেয়।
অনেক কষ্টে নৌকা পাড় হয়ে বাঘা ফিরে এসে সারারাত বেলুড় মঠের আশেপাশেই লুকিয়ে থাকে। স্বামীজী খুব ভোর বেলাতেই স্নান সেরে ফেলেন। স্বামীজী যখন স্নান করতে যাচ্ছেন, তখন বাঘা দৌড়ে এসে তাঁর পায়ে মুখ ঘষতে থাকে। শরণাগত বাঘাকে সাথে নিয়ে এসে স্বামীজী মঠের সকলকে ডেকে বললেন, ''বাঘাকে আর এভাবে যেন কেউ তাড়িয়ে না দেয়। ও চিরদিন মঠেই থাকবে।'' বাঘা মনিবের মনের ভাব বুঝতে পারত, স্বামীজীর কথায় নির্ভয় হয়ে বাঘা আনন্দে আত্মহারা। সে তখন সাড়া বেলুড় মঠ জুড়ে, লেজ নাড়তে নাড়তে আনন্দ করতে লাগল।স্বামীজীর প্রিয় কুকুর বাঘার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহটাকে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, পরেরদিন দেখা গেল ভাঁটার টানে বাঘার দেহটি ঠিক বেলুড় মঠের ঘাটেই চলে এসেছে। তখন সন্ন্যাসীরা বুঝতে পারে, বাঘা একটি কুকুর হলেও স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাধ্যমে বেলুড় মঠের সাথে এক অচ্ছেদ্য বন্ধন তৈরি করে ফেলেছে। তখন বাঘার দেহকে সসম্মানে মঠের জমিতেই সমাহিত করা হয়ে। সামান্য কুকুর থেকে কাউকেই যে ছোট করতে নেই, এ প্রসঙ্গে স্বামীজীর একটি উক্তি স্মর্তব্য, "যতদিন ভারতের একটা কুকুর পর্যন্ত অভূক্ত থাকবে ততদিন আমার মুক্তি নেই!"
স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় বাঘা কুকুরটির মতই প্রায় একই কাছাকাছি নামে বাঘ্যা নামে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের একটি বিশ্বস্ত কুকুর ছিল। কুকুরটি ছিল শিবাজি মহারাজের বন্ধুর মত সকল কাজের সহযোগী। কুকুরটি আমৃত্যু শিবাজি সাথে ছায়ার মত একসাথে ছিল। ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ দেহত্যাগ করেন। মহারাষ্ট্রের রায়গড় দুর্গের অভ্যন্তরে শিবাজির যখন অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছিল। তাঁর চিতার আগুন যখন দাউদাউ করে জ্বলছে তখন শিবাজি মহারাজের বন্ধুতুল্য প্রিয় কুকুর বাঘ্যার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল পরতে থাকে। এরমধ্যেই বিশ্বস্ত কুকুরটি ঘটিয়ে ফেলে এক ভয়াবহ অবিশ্বাস্য কাণ্ড; যে কাণ্ডের মাধ্যমে ইতিহাসে কুকুরটি আজও অমর হয়ে আছে। সে শিবাজির জলন্ত চিতার আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে।প্রখ্যাত মারাঠি নাট্যকার রামগণেশ গডকরীর লেখা 'রাজসন্ন্যাস' গ্রন্থে এ বীর কুকুর বাঘ্যার বীরত্বের ঘটনা বর্ণনা করা আছে। আজও রায়গড় দুর্গে শিবাজি মহারাজের সমাধির পাশেই কুকুরটির স্মারক ভাস্কর্য আছে।
মানুষের সুদিনে আশেপাশে অসংখ্য বন্ধু কপালে জোটে, কিন্তু জীবনের দুঃসময়েই চেনা যায় কে প্রকৃত বন্ধু। অবশ্য প্রকৃত বন্ধু চিনে নেওয়া অনেক সময়েই আমাদের দুঃসাধ্য হয়ে যায়। প্রবঞ্চকদের মিথ্যা প্রবঞ্চনায়, প্রথম অবস্থায় তাদের বন্ধু মনে করে অনেকেই প্রতারিত হয়।দুর্দিনে খুঁজে পাওয়া না গেলেও, কোন কোন বন্ধু ঋতুরাজ বসন্তের মত সুসময়ে সুমধুর কণ্ঠে বসন্তের কোকিল হয়ে হাজির হয়।
চাণক্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, বিপদে যিনি সর্বদা পাশে থাকে তাকেই বন্ধু বলে।বিপদেই বন্ধুত্বের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশিত হয়। কবির ভাষায় বলা যায়।
“সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়,
অসময়ে হায় হায় কেহ কারো নয়।”
তাই বন্ধু এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের সাথে প্রতারণা করতে নেই। এতে দিনশেষে নিজেকেই ঠকতে হয়। বন্ধু মনুষ্য তো বটেই এমনকি মনুষ্যতর প্রাণী সহ যে কেউ হতে পারে। বন্ধুর কাছে মনের সকল ভাব প্রকাশ করা যায়। স্বামী বিবেকানন্দের পালিত কুকুর মৃত্যুর পরেও দেহটি বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে চলে আসে, এর মূলে এক দৈব অশরীরী বিষয়ের আকর্ষণ থাকতে পারে। ভাবা যায়, বন্ধুত্বের ভালবাসা কতটা তীব্রতর হলে, একটি অবলা জীব কুকুর জ্বলন্ত চিতার আগুনে নিজেকে আত্মাহুতি দেয়। বন্ধুত্বে ভালবাসাটাই মুখ্য, অন্য সব গৌণ। কিন্তু এর পরেও যখন স্বার্থের দেয়াল সামনে আসে, মানুষ সে দেয়ালে বিভাজিত হয়ে পরিবর্তিত হয়ে যায়। হয়ত কেউ কেউ পরিবর্তিত হয় না; কিন্তু অধিকাংশই হয়। শ্রীমদ্ভগবদগীতাতেও মিত্র বা বন্ধুদের সাথে বিরোধ করাকে পাপ বলা হয়েছে। অর্জুন যখন যুদ্ধ করতে না চেয়ে অস্ত্রত্যাগ করেছিল, তখন এ পাপের বিষয়টিকেই একেবারে সামনে নিয়ে এসেছিল। পরে অবশ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথায় আশ্বস্ত হয়ে তিনি ধর্মযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যখন ধর্মযুদ্ধ উপস্থিত হয়, তখনকার পরিস্থিতি আলাদা, তখন কোন আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুত্বের প্রশ্ন থাকে না; তখন শুধু ধর্ম এবং অধর্মের প্রশ্নই থাকে। তখন বন্ধুও যদি অধর্মের আশ্রয়ে থাকে, তাকেও দণ্ড দিতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় বন্ধু যদি কোন অধর্মের সাথে যুক্ত না হয়, তবে বন্ধত্বের সাথে কখনই দ্রোহ বা বিশ্বাসঘাতকতা করতে নেই; করলে তা অধর্ম হয়।
যদ্যপেতে ন পশ্যন্তি লোভোপহতচেতসঃ ।
কুলক্ষয়কৃতং দোষং মিত্রদ্রোহে চ পাতকম্ ॥
কথং ন জ্ঞেয়মস্মাভিঃ পাপাদস্মান্নিবর্তিতুম্ ।
কুলক্ষয়কৃতং দোষং প্রপশ্যদ্ভির্জনার্দন ॥
(গীতা:১.৩৭-৩৮)
"যদিও এরা রাজ্যলোভে ভ্রষ্টচিত্ত হয়ে কুলনাশে উৎপন্নজাত দোষ এবং মিত্রদের সাথে বিরোধে কোন পাপ দেখছেন না; কিন্তু হে জনার্দন, আমরা কুলক্ষয় জনিত দোষ এবং মিত্রদ্রোহ জনিত পাপ লক্ষ্য করেও কেন এই পাপকর্ম হতে নিবৃত্ত হব না?"
বন্ধুত্বে কোন বয়স থাকে না ; বড় ছোট ভেদ থাকে না; কোন ধনী গরিবের ভেদাভেদ থাকে না; রাজা প্রজার ভেদ থাকে না এবং মানুষ প্রাণীতেও ভেদাভেদ থাকে না। মনের মিলনে উৎপন্ন ভালবাসাই এখানে বড় কথা। শ্রীরামচন্দ্রের বন্ধু ছিল নিষাদরাজ গুহক, যিনি সামাজিক মর্যাদায় শ্রীরামচন্দ্রের সমতূল্য ছিলেন না। কিন্তু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁকেও প্রিয় বন্ধু বলে সম্মানিত করেছেন। নিষাদরাজ গুহকের রাজ্য ছিল গঙ্গার তীরস্থ শৃঙ্গবেরপুর নামক স্থানে। অযোধ্যা ত্যাগ করে রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা প্রথমে এ রাজ্যে প্রবেশ করলে; নিষাদরাজ গুহক তাঁদের যথাযথ সমাদর করেন। গঙ্গা নদী পার হওয়ার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করেন। শ্রীরামের সন্ধান করতে ভরতকে সহায়তা দিয়ে ভরতকে সসৈন্যে গঙ্গানদী পার করার ব্যবস্থা করে দেন। বন্ধুত্বের সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ চৌদ্দবছর বনবাস শেষ করে শ্রীরামচন্দ্র অযোধ্যাতে ফিরে আসার সময় বন্ধু গুহককে দর্শন করে যান। শ্রীকৃষ্ণের জীবনেও আমরা একই বিষয় দেখি, অবন্তীপুরে অবস্থিত সান্দীপনি মুনির আশ্রমে শ্রীকৃষ্ণের সহপাঠী ছিলেন এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ সুদামা। প্রচণ্ড হতদরিদ্র বাল্যবন্ধু সুদামার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সর্বদা রক্ষা করেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
কিছু খাবার দেখতে এক হলেও স্বাদের পার্থক্য বিস্তর। ফেনাভাত এবং মিষ্টান্ন দেখতে এক বলে তাদের একই স্বাদের খাবার মনে করলে ধোকা খেতে হবে। কথাটি চিনি এবং লবণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষকে চিনির মত দেখতে হলেও, কিছুকাল পরেই তাদের লবণত্বের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।বন্ধু শব্দটা খুবই ছোট একটি শব্দ, কিন্তু বন্ধু হতে অনেক ত্যাগ করতে হয়, কাঠখড় পোড়াতে হয়। বন্ধুত্বের সবার আগে প্রয়োজন একে অন্যের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। বলা হয় প্রয়োজনেই বন্ধুকে চেনা যায়। জীবনে অনেককেই প্রথমে বন্ধু বলে মনে হলেও, পরে দেখা যায় সে বন্ধু ছিল না। সে ছলনাকারী, সে প্রতারক।
সহকারী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, বাংলাদেশ।।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁