-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।

পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে মধ্যযুগের বাংলার কবিদের মধ্যে মুকুন্দরাম চক্রবর্ত্তী অন্যতম। তাঁর রচিত চণ্ডীমঙ্গলের অনেক পঙক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পঙক্তি হল: "তুমি হৈলা রাবণ বিপক্ষ হৈল রাম ৷। পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।" পিপীলিকার শরীরে যখন পাখা গজায় এবং সেই পাখায় সে যখন মনের আনন্দে আকাশে উড়তে শুরু করে তখনই তার মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ পিপীলিকার শরীরের বাড়বাড়ন্তই তার মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি বাজিয়ে দেয়। সাময়িক হয়ত সে গর্বিত হয়ে যায়, অহংকারী হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু পরিণামে মৃত্যুর যমরাজ নিকটবর্তী হয়ে যায়। ছদ্মবেশিনী দেবী চণ্ডীকে গৃহে দেখে ফুল্লরা দেবীকে চিনতে পারে না। সে তখন তাঁর স্বামী কালকেতুকে অভিযুক্ত করে কথাগুলো বলে। ফুল্লরার কথাটি আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে কিছু মানুষের শরীরে এত বেড়ে গেছে যে, সেই তেলের আধিক্যে তারা ধরাকে শরাজ্ঞান করা শুরু করে দিয়েছে। শরীরে তেলের আধিক্যের কারণে তারা মনে করে যে, তাদের শরীরে দুটি ডানা গজিয়ে গিয়েছে। এখন আর তাদের কে পায়? তারা শুধুই দিনরাত্রি উড়েই বেড়াতে। এরা নিজেরাটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, অন্যেরটা ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ভণ্ডুল করাকেও তাদের পবিত্র কর্ম মনে করে। কিন্তু কি আর করা দিনশেষে একজন দ্রষ্টা পুরুষ হিসেবে ভালো-মন্দের সকলই দেখছেন। তাই পাপিষ্ঠরা পাপ করে যদি মনে করে যে তারা বেঁচে যাবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। জগতে কর্মফল সকলকেই ভোগ করে যেতে হয়, শুধু কয়েকদিন আগে আর পরে। এর হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারে না। এবং কোনদিন বাঁচতে পারবেও না। তাই পাপিষ্ঠদের উচিত তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত পাপকর্মের দ্বারে এখনই কীলক দেয়া। নচেৎ দ্রষ্টা পুরুষের ইশারায় প্রকৃতি যখন ভয়ংকর প্রতিশোধ নেবে তখন আর তাদের পালানোর স্থান থাকবে না। শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ। ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে। ফেসবুক পেজ লিঙ্ক :  Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে
মধ্যযুগের বাংলার কবিদের মধ্যে মুকুন্দরাম চক্রবর্ত্তী অন্যতম। তাঁর রচিত চণ্ডীমঙ্গলের অনেক পঙক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পঙক্তি হল:
"তুমি হৈলা রাবণ বিপক্ষ হৈল রাম ৷।
পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।"
পিপীলিকার শরীরে যখন পাখা গজায় এবং সেই পাখায় সে যখন মনের আনন্দে আকাশে উড়তে শুরু করে তখনই তার মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ পিপীলিকার শরীরের বাড়বাড়ন্তই তার মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি বাজিয়ে দেয়। সাময়িক হয়ত সে গর্বিত হয়ে যায়, অহংকারী হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু পরিণামে মৃত্যুর যমরাজ নিকটবর্তী হয়ে যায়। ছদ্মবেশিনী দেবী চণ্ডীকে গৃহে দেখে ফুল্লরা দেবীকে চিনতে পারে না। সে তখন তাঁর স্বামী কালকেতুকে অভিযুক্ত করে কথাগুলো বলে। ফুল্লরার কথাটি আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে কিছু মানুষের শরীরে এত বেড়ে গেছে যে, সেই তেলের আধিক্যে তারা ধরাকে শরাজ্ঞান করা শুরু করে দিয়েছে। শরীরে তেলের আধিক্যের কারণে তারা মনে করে যে, তাদের শরীরে দুটি ডানা গজিয়ে গিয়েছে। এখন আর তাদের কে পায়? তারা শুধুই দিনরাত্রি উড়েই বেড়াতে। এরা নিজেরাটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, অন্যেরটা ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ভণ্ডুল করাকেও তাদের পবিত্র কর্ম মনে করে। কিন্তু কি আর করা দিনশেষে একজন দ্রষ্টা পুরুষ হিসেবে ভালো-মন্দের সকলই দেখছেন। তাই পাপিষ্ঠরা পাপ করে যদি মনে করে যে তারা বেঁচে যাবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। জগতে কর্মফল সকলকেই ভোগ করে যেতে হয়, শুধু কয়েকদিন আগে আর পরে। এর হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারে না। এবং কোনদিন বাঁচতে পারবেও না। তাই পাপিষ্ঠদের উচিত তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত পাপকর্মের দ্বারে এখনই কীলক দেয়া। নচেৎ দ্রষ্টা পুরুষের ইশারায় প্রকৃতি যখন ভয়ংকর প্রতিশোধ নেবে তখন আর তাদের পালানোর স্থান থাকবে না।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক : Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁