সনাতন ধর্মে ঈশ্বরের পরেই মাতার গৌরব এবং মাতার পরেই পিতার শ্রেষ্ঠত্ব। বেদে জন্মদাত্রী মাতা এবং পিতাকে স্বয়ং মূর্তিমান দেবতা বলে অবিহিত করা হয়েছে :
মাতৃদেবো ভব। পিতৃদেবো ভব।
(তৈত্তিরীয় উপনিষদ:১.১১.২)
ঋগ্বেদ সংহিতার প্রথমসূক্তেই ঈশ্বরের সাথে জীবের অনায়াসগম্য সম্পর্ক বোঝাতে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। সনাতন ধর্মে ঈশ্বর কোন ভয়ংকর, বদরাগী, হিংসুক, পরশ্রীকাতর চরিত্র নয়। তিনি রসময়, প্রেমময় এবং আনন্দময়। তিনি পিতার মতই সহজগম্য। সেই পিতার কাছে পুত্র যখন তখন গমন করতে পারে।
স নঃ পিতেব সূনবেঽগ্নে সূপায়ূনো ভব।
সচস্বা নঃ স্বস্তয়ে৷৷
(ঋগ্বেদ সংহিতা:১.১.৯)
"পুত্রের নিকটে পিতা যেরূপ সহজগম্য, অর্থাৎ পুত্র যেমন সহজে পিতার নিকটে গমন করতে পারে সেরূপ হে অগ্নি, তুমি আমাদের নিকটে অনায়াসগম্য হও, আমাদের মঙ্গলের জন্য তুমি আমাদের কাছে অবস্থান কর।"
শাস্ত্রে পিতাকে পরম গুরু বলা হয়েছে। তিনি পরম ধর্মস্বরূপ, ধর্মের সাক্ষাৎ সচল মূর্তি। পিতাই সন্তানকে পালন পোষণ করেন। সন্তান প্রাথমিক শিক্ষা এবং আদর্শ পিতা থেকেই লাভ করে। তাই বেদেও পিতার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। পিতার কাছে পুত্র শুধু স্নেহের পাত্র হলেও; পুত্রের কাছে পিতা সর্বস্ব। সন্তানের জাগতিক আধ্যাত্মিক সকল আকাঙ্ক্ষাই পূর্ণ করেন পিতা। পিতার বাক্য কখনো লঙ্ঘন করতে নেই। কঠ উপনিষদে পাওয়া যায়, বালক নচিকেতা পিতার যজ্ঞকে সুসম্পাদিত করতে স্বেচ্ছায় যমলোকে গিয়েছিলেন। শ্রীরামচন্দ্র পিতৃসত্য রক্ষা করতে ছোটভাই লক্ষ্মণসহ সস্ত্রীক চৌদ্দবছর বনবাসে কাটিয়েছিলেন। পিতার বাক্যের যথার্থতা বিচার করা পুত্রের কাজ নয়। যে পুত্র শ্রীরামচন্দ্রের মত হাসিমুখে পিতার আদেশ পালন করে সেই পুত্রের সকল পাপ বিনষ্ট হয়। সন্তানের গায়ের পরিধেয় বসনসহ বিবিধ প্রকারের ভূষণাদি পিতাই প্রদান করে। সকল ভোগ্য পদার্থ, অন্নপ্রভৃতি খাদ্যসহ সকল লৌকিক এবনফ জীবিকানির্বাহের শিক্ষা পিতাই প্রদান করে। পিতা সাক্ষাৎ ধৰ্মস্বরূপ। পিতার সেবাতেই স্বর্গ পাওয়া যায়। পিতা সেবাই পরম তপস্যা ।সন্তানের আচরণে যদি পিতা প্রীত বা সন্তুষ্টি লাভ করে, তবে সকল দেবতাগণই প্রীত হয়। ফুলগাছে বৃন্ত বেলাশেষে ফুলকে পরিত্যাগ করে, তখন ফুল বৃন্ত থেকে ঝড়ে যায়। গাছের ফল পেকে গেলে গাছও ফলটিকে পরিত্যাগ করে, কিন্তু সন্তান শত অপরাধ করলেও পিতা স্নেহবশতঃ পুত্রকে তখনো পরিত্যাগ করেন না।এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত মহাভারতের দুর্যোধন। দুর্যোধন তাঁর স্বভাবের বশে প্রতিনিয়ত অপরাধ করাও পরেও পিতা ধৃতরাষ্ট্র তাঁকে পরিত্যাগ করেনি। ধৃতরাষ্ট্র পুত্রস্নেহে একপ্রকার অন্ধ ছিলেন। তিনি সন্তানের স্নেহে অন্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত সন্তানের বিবিধ অন্যায় কর্মকে মৌন সমর্থন দিয়ে গেছেন। পিতা পুত্রের কোন সামান্যতম আশ্রয় নয়। সন্তানের জীবন জুড়েই আছে পিতা। তাই পিতা হলেন সন্তানের এক বৃহত্তর আশ্রয়।
গুরুরগ্র্যঃ পরো ধর্মঃ পোষণাধ্যাপনান্বিতঃ ।
পিতা যদাহ ধৰ্মঃ স বেদেষ্বপি সুনিশ্চিতঃ ॥
প্রীতিমাত্রং পিতুঃ পুত্রঃ সর্বং পুত্ৰস্য বৈ পিতা ।
শরীরাদীণি দেয়ানি পিতাত্বেকঃ প্রযচ্ছতি।।
তন্মাৎ পিতুর্বচঃ কাৰ্যং ন বিচাৰ্যং কদাচন।
পাতকান্যপি পূয়ন্তে পিতুঃ শাসনকারিণঃ ॥
ভোগ্যে ভোজ্যে প্রবচনে সর্বলোকনিদর্শনে ।
ভর্ত্রাচৈব সমাযোগে সীমন্তোন্নয়নে তথা ॥
পিতা ধর্মঃ পিতা স্বর্গঃ পিতাহি পরমান্তপঃ।
পিতরি প্রীতিমাপন্নে সর্বাঃ প্রীয়ন্তি দেবতাঃ ॥
আশিষস্তা ভজন্ত্যেনং পুরুষং প্রাহ যৎ পিতা ।
নিষ্কৃতিঃ সর্বপাপানাং পিতা যচ্চাভিনন্দতি ॥
মুচ্যতে বন্ধনাৎ পুষ্পং ফলং বৃক্ষাৎ প্রমুচ্যতে ।
ক্লিশ্যন্নপি সুতং স্নেহৈঃ পিতা পুত্ৰং ন মুঞ্চতি ॥
এতদ্বিচিন্তিতং তাবৎ পুত্র্যস্য পিতৃগৌরবম্ ।
পিতা নাল্পতরং স্থানং চিন্তয়্যিামি মাতরম্ ॥
(মহাভারত :শান্তি,২৬০.১৭-২৪)
"পিতা পরম গুরু, পরমধর্মস্বরূপ। তিনি সন্তানকে পোষণ ও অধ্যাপন অর্থাৎ শিক্ষা প্রদান করেন। তাই পিতা যা বলেন, তা পালন করাই ধর্ম- বিষয়টি বেদেও সুনিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে।
পুত্র পিতার স্নেহের পাত্র মাত্র। পিতা পুত্রের সর্বস্ব। কারণ দেহ প্রভৃতি সমস্ত দাতব্য বস্তুই পিতার দান।
অতএব পিতার বাক্য সর্বদা পালন করা পুত্রের অবশ্য কর্তব্য। সে বিষয়ে কখনও পুত্রের বিচার করা উচিত নহে। পিতার আদেশপালনকারী পুত্রের সমস্ত পাপই বিনষ্ট হয়।
বসনভূষণাদি ভোগ্য পদার্থ, অন্নপ্রভৃতি খাদ্য বস্তু, উপদেশ, সমস্ত লৌকিক শিক্ষা, জীবিকানির্বাহের সময়ে প্রভুর সহিত সম্পর্কে এবং সকল সংস্কারে একমাত্র পিতাই প্রভু।
পিতা ধৰ্মস্বরূপ, পিতা স্বর্গস্বরূপ এবং পিতা পরম তপস্যাস্বরূপ । পিতা সন্তানের প্রতি প্রীতি লাভ করলে সমস্ত দেবতাই প্রীত হয়।
পিতা যা বলেন, পুত্রের পক্ষে তা আশীর্ব্বাদস্বরূপ। পিতা আদর পূর্বক বললে সেই বাক্যই পুত্রের সৰ্বপাপনাশক হয়ে থাকে।
বৃন্ত পুষ্পকে এবং বৃক্ষ ফলকে পরিত্যাগ করে থাকে ; কিন্তু পিতা মনে কষ্ট পেলেও স্নেহবশতঃ পুত্রকে তখনো পরিত্যাগ করেন না।
এতক্ষণ পুত্রের নিকটে পিতার গৌরব বিষয়ে চিন্তা করলাম। পিতা পুত্রের কোন সামান্যতম আশ্রয় নয়, বৃহত্তর আশ্রয়। এখন মাতার প্রসঙ্গেও চিন্তা করবো।"
মহাভারতের মত রামায়ণেও পিতার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষিত হয়েছে। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র বলেন, পিতার আদেশ নিষ্ঠার সাথে পালনই সনাতন ধর্ম। সত্য, দান, সম্মান এবং যজ্ঞ থেকেও পিতৃসেবা বলবান।
স সত্যং দানমানৌ বা যজ্ঞো বাপ্যাপ্তদক্ষিণাঃ ৷
তথা বলকরাঃ সীতে যথা সেবা পিতুর্মতা৷৷
(রামায়ণ: অযোধ্যাকাণ্ড, ৩০.৩৫)
"সীতে ! পিতৃসেবা যেমন মানসিক বলবর্ধক —সত্য, দান, সম্মান বা প্রভূত সদক্ষিণ যজ্ঞ সেইরকম নয়।"
স মা পিতা যথা শাস্তি সত্যধর্মপথে স্থিতঃ।
তথা বর্তিতুমিচ্ছামি স হি ধর্মঃ সনাতনঃ৷৷
(রামায়ণ: অযোধ্যাকাণ্ড, ৩০.৩৮)
"সত্য এবং ধর্মপথে অবস্থিত পিতা আমাকে যা আদেশ করেন, আমি তদনুসারেই চলতে চাই। কারণ, এটাই সনাতন ধর্ম।"
পিতা হি দৈবতং তাত দেবতানামপি স্মৃতম্।
তস্মাদ্ দৈবতমিত্যেব করিষ্যামি পিতুর্বচঃ।।
(রামায়ণ: অযোধ্যাকাণ্ড, ৩৪.৫২)
" হে পিতা ! পিতা দেবতাদের অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ দেবতা বলে মান্য। অতএব পিতৃবাক্যকে দেববাক্য বলে পালন করব।"
পিতার মর্যাদা এবং শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণে পূর্বখণ্ডে একটি পিতৃস্তোত্র রয়েছে। এ স্তোত্রটি সম্পর্কে বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণে বলা হয়েছে, যে মানব শুচি শুদ্ধ হয়ে পুণ্যমহিমাযুক্ত পিতৃস্তোত্র প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পাঠ করে তাঁর জীবনের বিবিধ প্রকারের পাপক্ষয় হয়। প্রতিদিন যদি পাঠ করা সম্ভব না হয়, তবে পিতৃশ্রাদ্ধদিনে অথবা নিজের জন্মদিনে পিতার সম্মুখে দাঁড়িয়ে ভক্তি সহকারে কোন সন্তান যদি সুদুর্লভ এই স্তোত্রটি পাঠ করেন, তবে তার সকল অভীষ্ট এবং সর্বজ্ঞত্ব লাভ হয়। সন্তানের পরম মাঙ্গলিক এ স্তোত্রপাঠে বিবিধ পাপকর্মের ক্ষয় হয়ে সন্তান জীবনে অত্যন্ত সুখী হয়। পিতার প্রীতিসম্পাদক পুত্রই পরিবারের জাগতিক আধ্যাত্মিক সকল কর্মের অধিকারী।
ওঁ নমঃপিত্রে জন্মদাত্রে সৰ্বদেবময়ায় চ।
সুখদায় সুপ্রসন্নায় সুপ্রীতায় মহাত্মনে।।
সর্বযজ্ঞস্বরূপায় স্বর্গায় পরমেষ্ঠিনে।
সর্বতীর্থাবলোকায় করুণাসাগরায় চ।।
নমঃ সদাশুতোষায় শিবরূপায় তে নমঃ।
সদাপরাধক্ষমিণে সুখায় সুখদায় চ৷৷
দুর্লভং মানুষামিদং যেন লব্ধং ময়া বপুঃ ।
সম্ভাবনীয়ং ধর্মার্থে তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥
তীর্থস্নাতপোহোমজপাদি যস্য দর্শনম্ ।
মহাগুরুোশ্চ গুরুবে তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥
যস্য প্রণামস্তবনাৎ কোটিশঃ পিতৃতর্পণম্ ।
অশ্বমেধশতৈস্তুল্যং তস্মৈ পিত্রে নমো নমঃ॥
(বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ, পূর্বখণ্ড,২. ২৩-২৮)
"যিনি সর্বযজ্ঞস্বরূপ, যিনি স্বর্গ, যিনি পরমেষ্ঠী (সত্যলোকে স্থিত), যিনি সর্বতীর্থ দর্শনের ফলস্বরূপ, নিখিল সুখ প্রদান করেন, সেই সর্বদেবময় জন্মদাতা করুণাসাগর মহাত্মা পিতাকে নমস্কার। যিনি সুপ্রীতি এবং প্রসন্ন হলে সতত অপরাধ ক্ষমাকারী, আশু সুখদাতা, সুখ ও শিবস্বরূপ পিতাকে নমস্কার। ধর্মকার্যের দুর্লভ দেহ আমি যার কৃপায় পেয়েছি, সেই পিতাকে নমস্কার।যাঁকে দেখলেই তীর্থস্নান, তপস্যা, হোম এবং জপাদির ফল লাভ হয়, মহাগুরুর গুরু সেই পিতাকে বারবার নমস্কার। যাঁর প্রণাম স্তব কোটি কোটি পিতৃ তর্পণের তুল্য এবং বহুশত অশ্বমেধ যজ্ঞের তুল্য, সেই পিতাকে বারবার নমস্কার।"
পিতা অশ্বত্থ বৃক্ষের মত প্রখর রোদের হাত থেকে রক্ষা করে সন্তানকে ছায়া দিয়ে রাখে। বৃক্ষের বিশুদ্ধ অক্সিজেন যেমন সবাইকে সচল রাখে, তেমনিভাবে পিতা সন্তানসহ পরিবারের সকলকে পালন করেন। পিতা নামক দৃঢ় অশ্বত্থ বৃক্ষটি যখন পত্রপল্লবে বিকশিত হয়ে জীবিত থাকে, তখন এর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারে না। কিন্তু বৃক্ষটি যখন চোখের সামনে থেকে হারিয়ে যায়, তখন বুঝতে পারে জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা। পিতার এ অনন্য শ্রেষ্ঠত্বের কারণেই মহাভারতের বনপর্বের ২৬৭ অধ্যায়ের যক্ষ যুধিষ্ঠির কথোপকথনে পিতাকে আকাশের থেকেও উচ্চতর বলা হয়েছে। যুধিষ্ঠিরকে যক্ষরূপধারী ধর্মরাজ জিজ্ঞাসা করেন, "কিং স্বিদুচ্চতরঞ্চ খাৎ"-কে আকাশ থেকে উচ্চতর? এই প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেন, "খাৎ পিতোচ্চতরস্তথা" -পিতা আকাশ থেকেও উচ্চতর। অর্থাৎ পিতা অসীম আকাশের থেকেও উচ্চতর আসনে আসীন।গরুড় পুরাণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গরুড়কে উদ্দেশ্য করে বলেন:
পিতৃমাতৃসমং লোকে নাস্তান্যদ্দৈবত পরম।
তস্মাৎ সর্বপ্রযত্নেন পূজয়েত পিতরৌ সদা।।
হিতানামুপদেষ্টা হি প্রত্যক্ষদৈবতং পিতা।
অন্য যা দেবতা লোকে ন দেহপ্রভব হি সা।।
শরীরমেব জন্তুনাং স্বর্গমোক্ষৈকসাধনম্।
দেহো দত্তো হি যেনৈবং কোঽন্যঃ পুজ্যতমস্ততঃ।।
ইতি সঞ্চিন্ত্য হৃদয়ে পক্ষিন্ যদ্ যৎ প্রজচ্ছতি।
তৎ সর্বমাত্মনা ভুঙক্তে দানং বেদবিদো বিদুঃ।।
পুন্নামনরকাদ্ যস্মাৎ পিতরং ত্রায়তে সুতঃ।
তস্মাৎ পুত্র ইতি প্রোক্ত ইহ চাপি পরত্র চ।।
(গরুড় পুরাণ:উত্তর খণ্ড,২১.২৭-৩১)
"কোন লোকেই পিতামাতার তুল্য পরম দেবতা আর কেউ নেই।অতএব সর্বপ্রযত্নে পিতামাতার যথাসাধ্য সেবা করবে।পিতা সর্বদা হিতোপদেশ প্রদান করেন অতএব তিনি প্রত্যক্ষ দেবতারূপী পরম গুরু। অন্য দেবতা ইহলোকে শরীর প্রভব নয়।শরীরই জীবগণের নরকভোগ,স্বর্গলাভ ও মোক্ষপ্রাপ্তির হেতু; সেই শরীর যিনি প্রদান করেছেন তদপেক্ষা পূজ্যতম আর কে অধিক জগতে হতে পারে? নিজ হৃদয়ে এমন চিন্তা করে, যিনি পিতৃগণের উদ্দেশ্যে দানাদিক্রিয়া সম্পন্ন করেন, পরকালে তিনি সেই সকল দানীয় দ্রব্য স্বয়ং ভোজন করেন। বেদবিদ পণ্ডিতেরা একেই দান বলে আখ্যায়িত করেন।পুত্রগণ পুৎ নামক নরক থেকে পিতাকে পরিত্রাণ করে বলেই স্বয়ম্ভু 'পুত্র' নামটি নির্দেশ করেছেন।"
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।