-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

মানুষ যা খেয়ে জীবনধারণ করে, দেবতাদের তাই সমর্পণ করতে পারে ।

মানুষ যা খেয়ে জীবনধারণ করে,  দেবতাদের তাই সমর্পণ করতে পারে ।  প্রত্যেক জাতির খাদ্যাভ্যাস ভৌগোলিক পরম্পরায় স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠেছে। ধর্ম সম্প্রদায়ের নামে নিজ খাদ্যাভ্যাস অন্যের উপরে চাপিয়ে দিলে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এরপরেও আমরা নিজের জন্মগত খাদ্যাভ্যাস অনুগত মানুষদের উপরে চাপিয়ে দেয়ার একটা প্রচেষ্টা করি। যা সম্পূর্ণভাবে অনুচিত।কখনো এ কাজটি বুঝে করি, কখনো না বুঝে। জগতের সকল খাদ্যই পরমেশ্বরের সৃষ্ট। তিনি সকল খাদ্যই গ্রহণ করে জঠরাগ্নিরূপে পরিপাক করে দেন। তবেই সেই খাদ্য দেহের অভ্যন্তরে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। প্রত্যেক জাতিই তার নিজস্ব পরম্পরাগত খাদ্য পরমেশ্বরকে প্রদান করতে পারে। যে জাতি যে সকল খাবার গ্রহণ করে, তারা সে সকল খাদ্য ঈশ্বরকে সমর্পণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই। পরমেশ্বরের কাছে ভক্তিই মুখ্য, আর সকল কিছুই গৌণ। আমরা রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডে এ বিষয়টির একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত পাই। বনবাসকালীন সময়ে শ্রীরামচন্দ্রের পিতা দশরথ দেহত্যাগ করেন। শ্রীরামচন্দ্র তখন ভাইদের সাথে নিয়ে অশ্রুপূর্ণ নয়নে দক্ষিণমুখী হয়ে মন্দাকিনী নদীর তীরে পিতার উদ্দেশ্যে অঞ্জলিপূর্ণ করে তিলজল প্রদান করলেন।কুশের আস্তরণের উপরে বড়ই, ইঙ্গুদি ফল ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড প্রদান করেন। বনবাসকালে শ্রীরামচন্দ্র যেহেতু কপর্দকহীন অবস্থায়। তাই তিনি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বড়ই, ইঙ্গুদি ফল ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড স্বর্গত পিতা দশরথকে সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করতে বললেন। এ প্রেক্ষাপটে শ্রীরামচন্দ্র বলেন, সাধারণত মানুষ যে অন্ন নিজেরা গ্রহণ করে, দেবতা ও পিতৃপুরুষগণকেও সে অন্ন সমর্পণ করতে পারে। পূজার মাধ্যমে দেবতারা এবং শ্রাদ্ধ-পিণ্ডোদক ক্রিয়ার মাধ্যমে পিতৃপুরুষেরা সেই সকল অন্ন বা নৈবেদ্য গ্রহণ করে তুষ্ট হন। ততো মন্দাকিনীতীরং প্রত্যুত্তীর্য স রাঘবঃ। পিতুশ্চকার তেজস্বী নির্বাপং ভ্রাতৃভিঃ সহ ৷৷  ঐঙ্গুদং বদরৈর্মিশ্রং পিণ্যাকং দর্ভসংস্তরে।  ন্যস্য রামঃ সুদুঃখার্তো রুদন্ বচনমব্রবীৎ॥  ইদং ভুঙ্ক্ষ্ব মহারাজ প্রীতো যদশনা বয়ম্। যদন্নঃ পুরুষো ভবতি তদন্নাস্তস্য দেবতাঃ ৷৷ (রামায়ণ:অযোধ্যা,১০৩.২৮-৩০) "অতঃপর তেজস্বী রঘুনন্দন রাম মন্দাকিনীর জল থেকে তীরে উঠে এসে ভ্রাতৃগণসহ পিতার উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলেন। কুশের আস্তরণের উপরে বড়ই, ইঙ্গুদি ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড প্রদান করে অত্যন্ত দুঃখ কাতর রাম বললেন— মহারাজ ! আমরা এখন বনবাসকালে যে অন্ন ভোজন করি আপনিও প্রীত হয়ে সেই অন্নই ভোজন করুন। সাধারণত মানুষ যে অন্ন গ্রহণ করে, তার দেবতা ও পিতৃপুরুষগণও তাই গ্রহণ করেন।" বাঙালির প্রধান খাদ্য চাল। এই চাল ধান থেকে উৎপন্ন হয়। তাই বাঙালির প্রত্যেকটি পূজাতেই চালের ব্যবহার সর্বত্র। কোন রান্না ছাড়া চালকলার নৈবেদ্য দেয়া হয় প্রায় সকল পূজায়। আবার চাল সিদ্ধ করে অন্নপ্রসাদ দেয়া হয়। অথবা চালডাল মিশ্রিত করে খিচুড়ি ভোগ দেয়া হয়। অবশ্য শ্রীমদ্ভগবদগীতার মতে শুধু চালকেই অন্ন বলা হয় না। জগতের সকল প্রাণীর সকল খাদ্যকেই অন্ন বলে। তেমনিভাবে প্রত্যেকটি জাতিই তাদের নিজ নিজ আহার্য অনুসারে দেবতাকে সমর্পণ করে। শুধু শাস্ত্রীয়  নিষিদ্ধ খাদ্য ছাড়া জগতের সকল খাবারই দেবতাকে সমর্পিত করা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'সোনারতরী' কাব্যগ্রন্থের 'বৈষ্ণবকবিতা' নামক কবিতায় বলেছেন: "দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে-প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই, তাই দিই দেবতারে; আর পাব কোথা! দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা।" একজন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস অনুসারে দেবতাকে যেমন নৈবেদ্য প্রদান করে। ঠিক একইভাবে একজন শীতপ্রধান দেশের মানুষ অথবা একজন মরুভূমির মানুষ তার খাদ্যাভ্যাস অনুসারে নৈবেদ্য প্রদান করে। জগতের সকল জাতির খাদ্যাভ্যাস যেহেতু এক নয়, সকল জাতির রুচিবোধ যেহেতু এক নয় ; তাই সকলের দেবতাকে প্রদেয় নৈবেদ্য এক নয়। ভিন্ন হবেই, এটাই স্বাভাবিক। এর স্বাধীনতা ধর্মেই দেয়া আছে। আমার কয়েকবছর আগের, ২০০৪ সালের একটি ঘটনা মনে পড়ে। নবদ্বীপের চন্দ্রোদয় মন্দিরে আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ গ্রহণ করছিলাম।আমার পাশেই দেখলাম, এক ব্রাজিলের ভক্ত অত্যন্ত ভক্তির সাথে প্রসাদের থালাটি গ্রহণ করে আছে। আমি প্রসাদ গ্রহণ করতে করতে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, সেই বিদেশি ভক্ত শুধু প্রসাদের বিবিধ ব্যঞ্জন, সাড়া প্লেট জুড়ে হাত দিয়ে শুধু মেখেই চলছেন । কিন্তু তেমন খাচ্ছেন না। প্রসাদের থালা থেকে শুধু এখান থেকে , ওখান থেকে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পরিমাণ নিয়ে মুখে দিচ্ছেন। আমি খেতে খেতে অনেকক্ষণ লক্ষ্য করলাম তাকে। অনেকক্ষণ  পরে বুঝতে পারলাম, তিনি আসলে খেতে পারছেন না। কারণ এই খাবারগুলো তার আজন্ম লালিত খাদ্যাভ্যাসে একদমই হয়ত নেই। কিন্তু তিনি প্রসাদকে অবজ্ঞাও করতে পারছেন না। কারণ তাদের ভক্তি অনেক বেশি। বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিল। আমি উপলব্ধি করতে পারলাম, আজ অনেক বিদেশি ভক্ত গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে জাত খাদ্যাভ্যাসকে অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত  প্রয়োজন। প্রসাদের নামে বাঙালি অথবা ভারতবর্ষীয় খাদ্যাভ্যাস বিদেশিদের উপরে চাপিয়ে দেয়াটা অনুচিত। বরং তারা যে ভগবানের শরণে এসে, ভক্তিজীবন অনুসরণ করছে ; এ বিষয়টি অনন্য। তাই  তাদের যথাসম্ভব উৎসাহিত করা উচিত। শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ। ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : Facebook ফেসবুক পেজ লিঙ্ক :  Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
প্রত্যেক জাতির খাদ্যাভ্যাস ভৌগোলিক পরম্পরায় স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠেছে। ধর্ম সম্প্রদায়ের নামে নিজ খাদ্যাভ্যাস অন্যের উপরে চাপিয়ে দিলে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এরপরেও আমরা নিজের জন্মগত খাদ্যাভ্যাস অনুগত মানুষদের উপরে চাপিয়ে দেয়ার একটা প্রচেষ্টা করি। যা সম্পূর্ণভাবে অনুচিত।কখনো এ কাজটি বুঝে করি, কখনো না বুঝে। জগতের সকল খাদ্যই পরমেশ্বরের সৃষ্ট। তিনি সকল খাদ্যই গ্রহণ করে জঠরাগ্নিরূপে পরিপাক করে দেন। তবেই সেই খাদ্য দেহের অভ্যন্তরে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। প্রত্যেক জাতিই তার নিজস্ব পরম্পরাগত খাদ্য পরমেশ্বরকে প্রদান করতে পারে। যে জাতি যে সকল খাবার গ্রহণ করে, তারা সে সকল খাদ্য ঈশ্বরকে সমর্পণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ নেই। পরমেশ্বরের কাছে ভক্তিই মুখ্য, আর সকল কিছুই গৌণ। আমরা রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডে এ বিষয়টির একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত পাই। বনবাসকালীন সময়ে শ্রীরামচন্দ্রের পিতা দশরথ দেহত্যাগ করেন। শ্রীরামচন্দ্র তখন ভাইদের সাথে নিয়ে অশ্রুপূর্ণ নয়নে দক্ষিণমুখী হয়ে মন্দাকিনী নদীর তীরে পিতার উদ্দেশ্যে অঞ্জলিপূর্ণ করে তিলজল প্রদান করলেন।কুশের আস্তরণের উপরে বড়ই, ইঙ্গুদি ফল ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড প্রদান করেন। বনবাসকালে শ্রীরামচন্দ্র যেহেতু কপর্দকহীন অবস্থায়। তাই তিনি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বড়ই, ইঙ্গুদি ফল ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড স্বর্গত পিতা দশরথকে সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করতে বললেন। এ প্রেক্ষাপটে শ্রীরামচন্দ্র বলেন, সাধারণত মানুষ যে অন্ন নিজেরা গ্রহণ করে, দেবতা ও পিতৃপুরুষগণকেও সে অন্ন সমর্পণ করতে পারে। পূজার মাধ্যমে দেবতারা এবং শ্রাদ্ধ-পিণ্ডোদক ক্রিয়ার মাধ্যমে পিতৃপুরুষেরা সেই সকল অন্ন বা নৈবেদ্য গ্রহণ করে তুষ্ট হন।
ততো মন্দাকিনীতীরং প্রত্যুত্তীর্য স রাঘবঃ।
পিতুশ্চকার তেজস্বী নির্বাপং ভ্রাতৃভিঃ সহ ৷৷
ঐঙ্গুদং বদরৈর্মিশ্রং পিণ্যাকং দর্ভসংস্তরে।
ন্যস্য রামঃ সুদুঃখার্তো রুদন্ বচনমব্রবীৎ॥
ইদং ভুঙ্ক্ষ্ব মহারাজ প্রীতো যদশনা বয়ম্।
যদন্নঃ পুরুষো ভবতি তদন্নাস্তস্য দেবতাঃ ৷৷
(রামায়ণ:অযোধ্যা,১০৩.২৮-৩০)
"অতঃপর তেজস্বী রঘুনন্দন রাম মন্দাকিনীর জল থেকে তীরে উঠে এসে ভ্রাতৃগণসহ পিতার উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করলেন।
কুশের আস্তরণের উপরে বড়ই, ইঙ্গুদি ও তিল মিশ্রিত পিণ্ড প্রদান করে অত্যন্ত দুঃখ কাতর রাম বললেন— মহারাজ ! আমরা এখন বনবাসকালে যে অন্ন ভোজন করি আপনিও প্রীত হয়ে সেই অন্নই ভোজন করুন। সাধারণত মানুষ যে অন্ন গ্রহণ করে, তার দেবতা ও পিতৃপুরুষগণও তাই গ্রহণ করেন।"
বাঙালির প্রধান খাদ্য চাল। এই চাল ধান থেকে উৎপন্ন হয়। তাই বাঙালির প্রত্যেকটি পূজাতেই চালের ব্যবহার সর্বত্র। কোন রান্না ছাড়া চালকলার নৈবেদ্য দেয়া হয় প্রায় সকল পূজায়। আবার চাল সিদ্ধ করে অন্নপ্রসাদ দেয়া হয়। অথবা চালডাল মিশ্রিত করে খিচুড়ি ভোগ দেয়া হয়। অবশ্য শ্রীমদ্ভগবদগীতার মতে শুধু চালকেই অন্ন বলা হয় না। জগতের সকল প্রাণীর সকল খাদ্যকেই অন্ন বলে। তেমনিভাবে প্রত্যেকটি জাতিই তাদের নিজ নিজ আহার্য অনুসারে দেবতাকে সমর্পণ করে। শুধু শাস্ত্রীয় নিষিদ্ধ খাদ্য ছাড়া জগতের সকল খাবারই দেবতাকে সমর্পিত করা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'সোনারতরী' কাব্যগ্রন্থের 'বৈষ্ণবকবিতা' নামক কবিতায় বলেছেন:
"দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই
প্রিয়জনে-প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই,
তাই দিই দেবতারে; আর পাব কোথা!
দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা।"
একজন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস অনুসারে দেবতাকে যেমন নৈবেদ্য প্রদান করে। ঠিক একইভাবে একজন শীতপ্রধান দেশের মানুষ অথবা একজন মরুভূমির মানুষ তার খাদ্যাভ্যাস অনুসারে নৈবেদ্য প্রদান করে। জগতের সকল জাতির খাদ্যাভ্যাস যেহেতু এক নয়, সকল জাতির রুচিবোধ যেহেতু এক নয় ; তাই সকলের দেবতাকে প্রদেয় নৈবেদ্য এক নয়। ভিন্ন হবেই, এটাই স্বাভাবিক। এর স্বাধীনতা ধর্মেই দেয়া আছে। আমার কয়েকবছর আগের, ২০০৪ সালের একটি ঘটনা মনে পড়ে। নবদ্বীপের চন্দ্রোদয় মন্দিরে আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ গ্রহণ করছিলাম।আমার পাশেই দেখলাম, এক ব্রাজিলের ভক্ত অত্যন্ত ভক্তির সাথে প্রসাদের থালাটি গ্রহণ করে আছে। আমি প্রসাদ গ্রহণ করতে করতে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, সেই বিদেশি ভক্ত শুধু প্রসাদের বিবিধ ব্যঞ্জন, সাড়া প্লেট জুড়ে হাত দিয়ে শুধু মেখেই চলছেন । কিন্তু তেমন খাচ্ছেন না। প্রসাদের থালা থেকে শুধু এখান থেকে , ওখান থেকে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পরিমাণ নিয়ে মুখে দিচ্ছেন। আমি খেতে খেতে অনেকক্ষণ লক্ষ্য করলাম তাকে। অনেকক্ষণ পরে বুঝতে পারলাম, তিনি আসলে খেতে পারছেন না। কারণ এই খাবারগুলো তার আজন্ম লালিত খাদ্যাভ্যাসে একদমই হয়ত নেই। কিন্তু তিনি প্রসাদকে অবজ্ঞাও করতে পারছেন না। কারণ তাদের ভক্তি অনেক বেশি। বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিল। আমি উপলব্ধি করতে পারলাম, আজ অনেক বিদেশি ভক্ত গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে জাত খাদ্যাভ্যাসকে অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রসাদের নামে বাঙালি অথবা ভারতবর্ষীয় খাদ্যাভ্যাস বিদেশিদের উপরে চাপিয়ে দেয়াটা অনুচিত। বরং তারা যে ভগবানের শরণে এসে, ভক্তিজীবন অনুসরণ করছে ; এ বিষয়টি অনন্য। তাই তাদের যথাসম্ভব উৎসাহিত করা উচিত।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : Facebook ফেসবুক পেজ লিঙ্ক : Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁