অনুভূতি না ছাই
ধ্যাৎ! অনুভূতি না ছাই,
শুধুই লুটপাট আর
অন্যের সম্পত্তি খাই খাই।
যদি শুধুই অনুভূতি হবে,
তবে কেন মন্দিরের
দানবাক্সের টাকা লুট হবে?
যদি শুধুই অনুভূতি হবে
তবে কেন অসহায় মানুষের
সহায় সম্বল,গরু-বাছুর
সোনাদানা, কাসা-পিতল
মেয়ে বিয়ের সঞ্চিত টাকাসহ
সকল কিছুই লুটপাট হয়?
সুযোগের সবুজ সংকেতে
সংখ্যালঘুর মন্দির, বসতবাড়ি;
আগুনের লেলিহান শিখায়
কেন পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করা হয়?
মুখে মুখেই অনুভূতি
মগজে থাকে অন্যের,
সহায় সম্পদ দখলের
নেশাময় বিকৃত সুখানুভূতি।
একটু বেশি সুযোগ পেলে
চরিত্রদণ্ড দাঁড়িয়ে উঠে;
ধর্মের বুলি লোপাট করে
নারীর দিকে কুদৃষ্টি পড়ে।
আমরা সকলই বুঝি!
তবুও পারিনা, মন প্রাণ খুলে
সত্য কথাটি সত্যের মত বলতে।
নির্বাক মুখটি আজ
নিষ্ঠুর বাস্তবতা নামক
বিনে সুতায় বাঁধা।
সুতা যেদিন কেটে দিয়ে
বলবো আমি কথা,
সেদিন বুঝবে বাছাধন
কাকে বলে মজা!
ধর্মের নামে, স্রষ্টার নামে
ভাই, দোহাই দিয়ে
বর্বরতা নৃশংসতা সকল কর
লজ্জা কি তোমার নাই?
আজ রাতে ঘুমানোর আগে
আয়নাতে একবার
নিজের মুখটি দেখ।
মানুষের মত দেখতে হলেও
সবাই মানুষ নয়।
কেউ কেউ আছে মানুষ,
কেউ আছে মানুষের চেহারায়
বড্ড হিংস্র দাঁতালো
সংজ্ঞাহীন শ্বাপদকুল।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।