লক্ষ্মীছাড়া বাঙালি
লক্ষ্মীছাড়া বাঙালি
বাঙালি, তোমার
হেংলামিতে নেই জুড়ি;
গর্বের ধন রবীন্দ্রনোবেল,
তাও গিয়েছে চুরি।
শ্রীহীন হয়ে দিনেদিনে,
স্বেচ্ছায় লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে
বরণ করলে অলক্ষ্মীকে।
ঢপের চপ দেখতে ভালো,
খাওয়া যায় না, তুমিও জান।
বুদ্ধিজীবিকায় আছে জুড়ি
কথায় কথায় ফুলঝুরি।
ভোট আসলে দাদা-দিদি
হেব্বি হেব্বি বাঙালি,
ক্ষমতার জন্য শত্রুঘ্ন বাহারি;
এই করে ডুয়েলে চলছে
সাধের ঢপের রাজনীতি।
আহারে পাক্কা খেলোয়াড়
সুযোগের মৌমাছি দাদাটি আমার!
রাজনীতির 'র' বর্ণও জানেন না
তিনি আবার!
তবে বৌদিসহ নৃত্য করে
জয়নগরের মোয়া এবং
দিদির হাতে তৈরি
রসে টইটম্বুর রসগোল্লা খান।
আবার
দিদির চোখ আড়াল করে
সুযোগ পেলেই দাদাটি আমার
গব্ গব্ শব্দে 'দিল্লি কা লাড্ডুভি' খান।
রাজনৈতিক দাদাদের চরিত্র
ফুলের মত পবিত্র হায়!
কোন দাদা আজ এপাং,
কাল সে ওপাং করে,ঝপাং করে
চিরদিনের তরে চিৎপটাং হয়।
কেউ বিশ্বাস করে না তায়।
বাঙালি তুমি
একই ভুল বারবার কর!
বিরাট হনু বুদ্ধিজীবী সেজে
যে ডালেতে বসে আছো
সে ডালেরই গোড়া কাটো।
পরিণতিতে কি হয়,
তা তুমি নিজেও ভালো জান।
যে ভ্রান্ত নির্বোধ রাজনীতি
তুমি গত শতাব্দীতে করেছ,
সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি
স্বেচ্ছায় দিবান্ধের মত
আজও দিবারাত্রি করেই চলছ।
ও হুক্কাহুয়া গর্গরি কাকু!
এত যে দিনরাত বাঙালি কর,
বাঙালি কে তা কি জান?
তবে শুনে রাখ আজ-
বাঙালি শুধু ভাষাতেই সীমাবদ্ধ নয়,
বাঙালি হলে বাঙালির শাশ্বত
সংস্কৃতিকেও বুকে ধারণ করতে হয়।
বাংলা ভাষায় কথা বললেই
কেউ কখনো বাঙালি নয়।
ভাবছো বসে মনে মনে
এই বুঝি আসছে সুদিন,
আশায় আশায় গুড়েবালি;
কর্মফলে আজ তুমি
ধুলায় যাচ্ছ গড়াগড়ি।
সুদিন সবই কুদিন হবে
মজা তখন তুমি বুঝবে।
বলে রাখলাম এই ফাঁকে
গরিবের কথা শোন এবার-
জীবন যদি এভাবেই চলে
অগুছালো এলেবেলে,
বাঁচতে গিয়ে গুষ্ঠিসুদ্ধ
পীঠে বালিশ বেঁধে,
পূর্বের মত পালাতে হবে
তোমার দিনশেষে।
আমায় তখন দোষ দিও না,
তুমি আমি কেউ রবো না।
খোলামাঠে থাকবে শুধু,
হতচ্ছাড়া, লক্ষ্মীছাড়া
নির্বোধ পশ্চিমা বাঙালির
সর্বস্বান্ত হওয়া উত্তরসূরি।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : কবিতা : লক্ষ্মীছাড়া বাঙালি।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক : Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook