-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

কবিতা : একটি ধর্মীয় অনুভূতির গল্প।

একটি ধর্মীয় অনুভূতির গল্প  চারিদিকে বাসন্তি ধ্বজা  মঞ্চজুড়ে পত্পত্ শব্দে উড়ছে , মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন  আমাদের প্রিয় নেতা । নেতার কণ্ঠে ঝড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুর, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঝর্ণাধারায় প্রতিদিন স্নান করছি আমরা, আর ভয় নেই, সময় নেই আর, ঘরে বসে থাকার ধর্ম আমাদের মা,মায়ের গ্লানিতে সন্তানেরা ঘরে বসে থাকবে,  তাদের সে আশায় গুড়েবালি। যে বিপদে, তার পাশে আমরা  সম্প্রদায়কে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের, আপনারা জেগে উঠুন, ভয়ের কিছুই নেই। রক্ত শিরায় শিরায় বাসা বেঁধেছে সময় এসেছে তার প্রকাশের। সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে, পৌঁছে যাবো অসহায়ের ঘরে , বিপদে থাকবো সদা আগুয়ান, রক্ত দিয়ে হলেও বাঁচাবো প্রাণ। নেতার মেঘগম্ভীর কণ্ঠের  প্রেরণাদীপ্ত বক্তব্যে উত্তেজিত শ্রোতা। শাণিত চীৎকারে শ্রোতাকে করেছেন কাবু । শ্রোতার কণ্ঠে, "ভয় নেই, আর ভয় নেই" কি অসাধারণ বক্তব্য দিচ্ছিলেন  আমাদের প্রিয় নেতা মণ্ডল বাবু।" সভা পণ্ড করে, হঠাৎ ছন্দপতন, একটি ভীতসন্ত্রস্ত ছেলের আগমন । উত্তেজিত জনতাকে গলিয়ে  মঞ্চের কাছে গিয়ে অসহায় ছেলেটি  প্রিয় নেতাকে চিৎকার করে বললো, "জেঠু, মা পাঠিয়েছে আপনাদের কাছে, বলেছে আপনারাই আমাদের নেতা, আপনারাই আমাদের মা-বাবা,  আপনারাই আমাদের সব।  আমরা নাকি ধর্মীয়  অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি। এ কথা বলে ঘরে যা ছিল সকলই তছনছ করে দিয়েছে, লুটপাট করেছে কিছু মানুষেরা। বাবাকে জেঠুকে ধরে খুব পিটিয়েছে দিদিকে ধরে আটকে রেখেছিল  ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও বলে,  দিদির চিৎকারই শুনেছি কতক্ষণ।  ভেতরে কি হচ্ছে মা? জিজ্ঞাসা করতেই মুখে কাপড় চাপা দিয়ে, হুহু করে কেঁদে উঠল মা। আজও কেউ ঘরের বাইরে যাইনি, লুকিয়ে অনেক কষ্টে মা পাঠালেন, আপনাদের কাছে; রক্ষা করতে।  আচ্ছা জেঠু, ধর্মীয় অনুভূতিটা কি? কেউ ঠিক বুঝিয়ে বলে না আমাকে। কথা শুনে ছেলেটির, শান্ত ভঙ্গিতে অবশেষে প্রিয় নেতা বললেন, শোন বাবা, তুমি ছোট তো, তাই ওসব শক্ত কথা বুঝবে না, বুঝেছি, অনেক ঝড় বয়ে গেছে  তোমাদের সকলের উপরে।  মাকে বলবে শক্ত হতে,  আরে আমরা তো আছিই পাশে। তবে কি জান, ইচ্ছা থাকার পরেও,  কিছুই করতে পারছি না, বিষয়টি ব্যক্তিগত কিনা,  বড় হলে সব বুঝবে তবে সমস্যা যদি ব্যক্তিগত না হত, তবে আমরাও দেখিয়ে দিতাম,  কত ধানে কত চাল! মহানুভব প্রিয় নেতার কণ্ঠে , শুধুই আশ্বাসের সুর , ছিলো না ঘটে যাওয়া নির্মমতার  কারণ খোঁজার উসুল । এমনি ভাবেই বাড়ি ফিরলো অসহায় ছেলেটি, অতশত বুঝতে পারলো না, বাড়ি ফিরে মাকে জিজ্ঞাসা করলো,  মা আমাদের কি দেখার কেউ নেই? মাথায় হাত দিয়ে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে  ছেলেটিকে মা বললেন, বাবা,  সংখ্যালঘু হয়ে জন্ম নেয়াই পাপ। আমরা মানুষ না, প্রয়োজনে  শুধুই কতগুলো বাকরুদ্ধ ভোট, ভোটবাক্সই শুধু চেনে আমাদের। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়, দিনশেষে শুধু আমাদের। শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী

 একটি ধর্মীয় অনুভূতির গল্প

চারিদিকে বাসন্তি ধ্বজা
মঞ্চজুড়ে পত্পত্ শব্দে উড়ছে ,
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন
আমাদের প্রিয় নেতা ।
নেতার কণ্ঠে ঝড়ে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুর,
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঝর্ণাধারায়
প্রতিদিন স্নান করছি আমরা, আর ভয় নেই,
সময় নেই আর, ঘরে বসে থাকার
ধর্ম আমাদের মা,মায়ের গ্লানিতে
সন্তানেরা ঘরে বসে থাকবে,
তাদের সে আশায় গুড়েবালি।
যে বিপদে, তার পাশে আমরা
সম্প্রদায়কে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের,
আপনারা জেগে উঠুন, ভয়ের কিছুই নেই।
রক্ত শিরায় শিরায় বাসা বেঁধেছে
সময় এসেছে তার প্রকাশের।
সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে,
পৌঁছে যাবো অসহায়ের ঘরে ,
বিপদে থাকবো সদা আগুয়ান,
রক্ত দিয়ে হলেও বাঁচাবো প্রাণ।
নেতার মেঘগম্ভীর কণ্ঠের
প্রেরণাদীপ্ত বক্তব্যে উত্তেজিত শ্রোতা।
শাণিত চীৎকারে শ্রোতাকে করেছেন কাবু ।
শ্রোতার কণ্ঠে, "ভয় নেই, আর ভয় নেই"
কি অসাধারণ বক্তব্য দিচ্ছিলেন
আমাদের প্রিয় নেতা মণ্ডল বাবু।"
সভা পণ্ড করে, হঠাৎ ছন্দপতন,
একটি ভীতসন্ত্রস্ত ছেলের আগমন ।
উত্তেজিত জনতাকে গলিয়ে
মঞ্চের কাছে গিয়ে অসহায় ছেলেটি
প্রিয় নেতাকে চিৎকার করে বললো,
"জেঠু, মা পাঠিয়েছে আপনাদের কাছে,
বলেছে আপনারাই আমাদের নেতা,
আপনারাই আমাদের মা-বাবা,
আপনারাই আমাদের সব।
আমরা নাকি ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি।
এ কথা বলে ঘরে যা ছিল সকলই
তছনছ করে দিয়েছে,
লুটপাট করেছে কিছু মানুষেরা।
বাবাকে জেঠুকে ধরে খুব পিটিয়েছে
দিদিকে ধরে আটকে রেখেছিল
ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও বলে,
দিদির চিৎকারই শুনেছি কতক্ষণ।
ভেতরে কি হচ্ছে মা? জিজ্ঞাসা করতেই
মুখে কাপড় চাপা দিয়ে,
হুহু করে কেঁদে উঠল মা।
আজও কেউ ঘরের বাইরে যাইনি,
লুকিয়ে অনেক কষ্টে মা পাঠালেন,
আপনাদের কাছে; রক্ষা করতে।
আচ্ছা জেঠু, ধর্মীয় অনুভূতিটা কি?
কেউ ঠিক বুঝিয়ে বলে না আমাকে।
কথা শুনে ছেলেটির,
শান্ত ভঙ্গিতে অবশেষে
প্রিয় নেতা বললেন, শোন বাবা,
তুমি ছোট তো, তাই ওসব শক্ত কথা বুঝবে না,
বুঝেছি, অনেক ঝড় বয়ে গেছে
তোমাদের সকলের উপরে।
মাকে বলবে শক্ত হতে,
আরে আমরা তো আছিই পাশে।
তবে কি জান, ইচ্ছা থাকার পরেও,
কিছুই করতে পারছি না,
বিষয়টি ব্যক্তিগত কিনা,
বড় হলে সব বুঝবে
তবে সমস্যা যদি ব্যক্তিগত না হত,
তবে আমরাও দেখিয়ে দিতাম,
কত ধানে কত চাল!
মহানুভব প্রিয় নেতার কণ্ঠে ,
শুধুই আশ্বাসের সুর ,
ছিলো না ঘটে যাওয়া নির্মমতার
কারণ খোঁজার উসুল ।
এমনি ভাবেই বাড়ি ফিরলো
অসহায় ছেলেটি,
অতশত বুঝতে পারলো না,
বাড়ি ফিরে মাকে জিজ্ঞাসা করলো,
মা আমাদের কি দেখার কেউ নেই?
মাথায় হাত দিয়ে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে
ছেলেটিকে মা বললেন, বাবা,
সংখ্যালঘু হয়ে জন্ম নেয়াই পাপ।
আমরা মানুষ না, প্রয়োজনে
শুধুই কতগুলো বাকরুদ্ধ ভোট,
ভোটবাক্সই শুধু চেনে আমাদের।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়,
দিনশেষে শুধু আমাদের।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁