অন্ধ অনুভূতির দোহাই
মানুষের চিন্তা, মানুষের ভাষা
এবং মানুষের স্বাধীনতা,
অন্ধ অনুভূতির দোহাই দিয়ে,
নিরবচ্ছিন্ন বন্ধ করা যায় না।
কিন্তু এরপরেও,
চিন্তার দ্বারকে রুদ্ধ করতে
কেউ কোনকালে সফল না হলেও;
কিছু গর্দভ প্রতিনিয়ত
এ অপচেষ্টাটি করেন।
দুঃখিত! গর্দভ অনেক প্রয়োজনীয়
অন্যের ভার বয়ে চলা নিরীহ প্রাণী।
কিছু কুকুর এ প্রয়াসটি করেন,
এবারও মস্তবড় ভুল হল!
কুকুর অনেক প্রভুভক্ত বিশ্বস্ত প্রাণী
সে মনিবের সাথে কৃতঘ্নতা করে না।
তবে কিছু মানুষরূপি শুয়োর
হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে এ প্রচেষ্টাটি করে।
দুঃখিত! এবারও ভুল, শুয়োর নিজে
বিষ্ঠা খেলেও, কারো সহসা ক্ষতি করে না
সে কৃতঘ্ন নয়, সে অবিশ্বস্ততা করে না।
এদের মহাউন্মাদ, মহামূর্খ বলা যায়
কোন প্রাণীর সাথেই এরা তুলনীয় নয়,
ওরা নিজেরাই নিজেদের একমাত্র তুলনীয়।
সামান্যতেই যাদের অনুভূতির দেয়াল
ভেঙে চুরমার হয়ে যায়,
বুঝতে হবে তাদের বিশ্বাসটি
দৃঢ় নয়, শুধুই ঠুনকো
সামান্য বাতাসেই
যে বিশ্বাস হিল্লোলিত হয়,
সে বিশ্বাস কখনো
ভবিষ্যৎ জ্ঞানরাজ্যের ঝড়কে
মুখোমুখি মোকাবিলা করতে পারে না
এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।
সেই অন্ধত্ব তখন অনুভূতি নামে
একমাত্র সহায় করে, বন্ধু করে অস্ত্রকে।
অস্ত্রের ভয়ে, নৃশংসতার ভয়ে
সাময়িক বিরতি নেয় মুক্তচিন্তা।
একথা চিরন্তন
যদি চিন্তার শক্তি থাকে,
দর্শনের শক্তি থাকে;
তবে কোনদিনও জগতে
পথহারা হয়না সে।
আজকের রুদ্ধকরা সামান্য বাতাস
অবহেলার ধূলা ঝেড়ে,
একদিন যখন ঝড় হয়ে ফিরে আসবে,
তখন অন্ধবিশ্বাস অন্ধ অনুভূতি
খড়কুটোর মত উড়ে চলে যাবে।
কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী