-->

ধর্ম নির্ণয়ে বেদই একমাত্র প্রমাণ; পুরাণ এবং স্মৃতি সহায়ক মাত্র

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তি প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদকে পাশ কাটিয়ে শুধু পৌরাণিক গ্রন্থ অথবা বিভিন্ন বাবাগুরুদের লেখা ছড়ার বই, গ...

প্রত্যেকটি মানুষের, শেষপাতে রসগোল্লা রয়েছে।

প্রত্যেকটি মানুষের,   শেষপাতে রসগোল্লা রয়েছে   জগতকে পরিবর্তন করার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আমি চাইলেও জগতকে রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবো না। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। কিন্তু যার ইশারাতে এ জগত চলছে, তাঁর ইশারা ছাড়া সকল প্রচেষ্টাই নিস্ফল লবডঙ্কা। আমাদের শুধু নিষ্কামভাবে নিদের কর্তব্যটি পালন করে যেতে হবে। বহুদূরের কোন বিষয়, চাইলেও সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু একটি বিষয় সকলেরই সম্ভব। তা হলো নিজের নিজের ইন্দ্রিয়ের সামনে যত ঘটনা ঘটবে তার সমাধানের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে হবে।যেমন: নিজের চোখের সামনে কোন অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে। নিজের কানে কোন অন্যায় অনৈতিক ঘটনা শুনলে এর যথাসাধ্য প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করে সমাধান করার প্রচেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যত ঘটনা রয়েছে তার সমাধান করার যদি আমার চেষ্টা করি, তবে সকল সমস্যারই সুষ্ঠ সমাধান হয়ে যাবে। এভাবে যদি প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নিদিষ্ট কর্তব্য কর্ম পালন করেন, তাহলে অধিকাংশ সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।কর্মেতেই শুধু অধিকার, ফলে নয়। মঙ্গলময় কাজ করলে ফল এমনিতেই জীবনে চলে আসবে। কিন্তু আমাদের ধৈর্য থাকে না। আমরা অধৈর্য হয়ে যাই। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, কর্মফলের যেমন আশা করা উচিত নয়, তেমনি কর্মও ত্যাগ করা উচিত নয়। সকলের সামনে নির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্য এবং কর্ম রয়েছে নিষ্ঠার সাথে আমৃত্যু পালন করে যেতে হবে। কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গোঽস্ত্বকর্মণি৷৷ (শ্রীমদ্ভগবদগীতা:২.৪৭) "কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে নয়। অতএব তুমি কর্ম-ফলের হেতু হবে না। আবার কর্মত্যাগেও যেন তোমার প্রবৃত্তি না হয়।" কিন্তু আমরা সামান্যতেই অধৈর্য হয়ে হতাশ হয়ে যাই। শুভ কর্মের ফলাফল সাথে সাথেই চাই। এই চাই চাই করতে করতে জীবনটাই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শুভ কর্মের ফল শীঘ্রই চাইলেও, অশুভ ফল কিন্তু শীঘ্রই চাই না। অথচ শুভ অশুভ উভয় কর্মের ফলাফলই মানুষকে ভোগ করতে হয়। এর থেকে কারও নিস্তার নেই। তাই ফলের আশা চিন্তা না করে জগতের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থে বলেছেন: "বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা, বিপদে আমি না যেন করি ভয়। দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,  দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।  আমারে তুমি করিবে ত্রাণ  এ নহে মোর প্রার্থনা, তরিতে পারি শকতি যেন রয়। দুখের রাতে নিখিল ধরা  যেদিন করে বঞ্চনা তোমারে যেন না করি সংশয়।" বাঙালিরা যখন অতিথিকে খাবার পরিবেশন করি, আমাদের খাবার পাতে প্রথমে থাকে করলা ভাজা, এর পরে মাছ, মাংস, ডাল ইত্যাদি। কিন্তু প্রথমেই যদি তিতা করলা দেখে হতাশ হয়ে কেউ খাবার ছেড়ে উঠে যায়, সে হয়ত জানতেও পারবে না যে খাবারের শেষপাতে টকচাটনি, দই-মিষ্টি বা রসগোল্লা আছে। শেষপাত পর্যন্ত যারা অপেক্ষা করেছে, তারা সকলেই সুস্বাদু রসগোল্লা পেয়েছে। তেমনি ভগবান প্রত্যেকটি মানুষের জন্যেই শেষপাতে রসগোল্লা রেখেছেন, এ বিশ্বাসটি রেখে নিষ্কামভাবে নিজের নিদিষ্ট করনীয় দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। তবেই গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব।  শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ। ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক : প্রত্যেকটি মানুষের, শেষপাতে রসগোল্লা রয়েছে ফেসবুক পেজ লিঙ্ক :  Shri Kushal Baran Chakraborty | Facebook

জগতকে পরিবর্তন করার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আমি চাইলেও জগতকে রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবো না। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। কিন্তু যার ইশারাতে এ জগত চলছে, তাঁর ইশারা ছাড়া সকল প্রচেষ্টাই নিস্ফল লবডঙ্কা। আমাদের শুধু নিষ্কামভাবে নিদের কর্তব্যটি পালন করে যেতে হবে। বহুদূরের কোন বিষয়, চাইলেও সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু একটি বিষয় সকলেরই সম্ভব। তা হলো নিজের নিজের ইন্দ্রিয়ের সামনে যত ঘটনা ঘটবে তার সমাধানের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে হবে।যেমন: নিজের চোখের সামনে কোন অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে। নিজের কানে কোন অন্যায় অনৈতিক ঘটনা শুনলে এর যথাসাধ্য প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করে সমাধান করার প্রচেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যত ঘটনা রয়েছে তার সমাধান করার যদি আমার চেষ্টা করি, তবে সকল সমস্যারই সুষ্ঠ সমাধান হয়ে যাবে। এভাবে যদি প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নিদিষ্ট কর্তব্য কর্ম পালন করেন, তাহলে অধিকাংশ সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।কর্মেতেই শুধু অধিকার, ফলে নয়। মঙ্গলময় কাজ করলে ফল এমনিতেই জীবনে চলে আসবে। কিন্তু আমাদের ধৈর্য থাকে না। আমরা অধৈর্য হয়ে যাই। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, কর্মফলের যেমন আশা করা উচিত নয়, তেমনি কর্মও ত্যাগ করা উচিত নয়। সকলের সামনে নির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্তব্য এবং কর্ম রয়েছে নিষ্ঠার সাথে আমৃত্যু পালন করে যেতে হবে।
কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।
মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গোঽস্ত্বকর্মণি৷৷
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:২.৪৭)
"কর্মেই তোমার অধিকার, ফলে নয়। অতএব তুমি কর্ম-ফলের হেতু হবে না। আবার কর্মত্যাগেও যেন তোমার প্রবৃত্তি না হয়।"
কিন্তু আমরা সামান্যতেই অধৈর্য হয়ে হতাশ হয়ে যাই। শুভ কর্মের ফলাফল সাথে সাথেই চাই। এই চাই চাই করতে করতে জীবনটাই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শুভ কর্মের ফল শীঘ্রই চাইলেও, অশুভ ফল কিন্তু শীঘ্রই চাই না। অথচ শুভ অশুভ উভয় কর্মের ফলাফলই মানুষকে ভোগ করতে হয়। এর থেকে কারও নিস্তার নেই। তাই ফলের আশা চিন্তা না করে জগতের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থে বলেছেন:
"বিপদে মোরে রক্ষা করো
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে
নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ
এ নহে মোর প্রার্থনা,
তরিতে পারি শকতি যেন রয়।
দুখের রাতে নিখিল ধরা
যেদিন করে বঞ্চনা
তোমারে যেন না করি সংশয়।"
বাঙালিরা যখন অতিথিকে খাবার পরিবেশন করি, আমাদের খাবার পাতে প্রথমে থাকে করলা ভাজা, এর পরে মাছ, মাংস, ডাল ইত্যাদি। কিন্তু প্রথমেই যদি তিতা করলা দেখে হতাশ হয়ে কেউ খাবার ছেড়ে উঠে যায়, সে হয়ত জানতেও পারবে না যে খাবারের শেষপাতে টকচাটনি, দই-মিষ্টি বা রসগোল্লা আছে। শেষপাত পর্যন্ত যারা অপেক্ষা করেছে, তারা সকলেই সুস্বাদু রসগোল্লা পেয়েছে। তেমনি ভগবান প্রত্যেকটি মানুষের জন্যেই শেষপাতে রসগোল্লা রেখেছেন, এ বিশ্বাসটি রেখে নিষ্কামভাবে নিজের নিদিষ্ট করনীয় দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। তবেই গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব।
সহকারী অধ্যাপক,সংস্কৃত বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ।
মন্তব্যগুলো দেখুনমন্তব্যগুলো লুকান🙁