ধর্ম একটি বিমূর্ত সত্ত্বা। এ সত্ত্বা মূর্তিমান হয় ব্যক্তি গোষ্ঠীর সদাচারে। জগতকে ধারণ করে আছে ধর্ম। তাই জগতের সকল সুখের প্রধান উৎস ধর্ম। ধর্মের শুদ্ধ আচরণে মানুষ কীর্তিমান হয়ে সুখ লাভ করে এবং পরিশেষে মুক্তি লাভ করে। বিপরীতে অর্ধমের আচরণে জগত পাপ দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে সর্বদা নিম্নগামী হয়। ধর্মের দুটি সত্ত্বা, একটি আধ্যাত্মিক ; অন্যটি ব্যবহারিক। ধর্মের আধ্যাত্মিক অংশটিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং শাশ্বত। কিন্তু আধ্যাত্মিক অংশে পৌঁছাতে হলে ব্যবহারিক অংশ সাধারণত অতিক্রম করে যেতে হয়। বিষয়টি উপরে ওঠাতে সিঁড়ির এক একটা ধাপের মত; একটি ধাপকে অতিক্রম করেই, তবে অন্য ধাপটিতে যেতে হয়। আধ্যাত্মিকতায় অর্থ এবং রাজশক্তি প্রয়োজনীয় নয়। কিন্তু ব্যবহারিক বা আনুষ্ঠানিক ধর্মের আয়োজনে অর্থ এবং রাজশক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অর্থ না থাকলে মানবের সংসারযাত্রা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যায়। অর্থদ্বারা ধর্মের বিভিন্ন ব্যবহারিক সদাচার দান, তীর্থযাত্রা, সেবা সহ বিবিধ লোককল্যাণ অনায়াসে করা যায়। তবে অর্থের সাথে সাথে আর একটি বিষয় অত্যন্ত জরুরী, তা হল রাজশক্তি বা রাজনৈতিক ক্ষমতার অংশীদারি হওয়া। জগতের অধিকাংশ মতবাদই অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রচারিত। অর্থ এবং রাজশক্তি এ দুটি মুখ্য ক্ষমতা মানুষের অন্যান্য গৌণ সকল ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত করে। বিষয়টি অর্থশাস্ত্রের প্রণেতা চাণক্য তাঁর দূরদৃষ্টিতে লক্ষ্য করেছেন।
সুখম্য মূলং ধর্ম।
ধর্মস্য মূলমর্থঃ।
অর্থস্য মূলং রাজ্যম্।
রাজ্যমূলমিন্দ্রয়জয়ঃ।
(চাণক্য সূত্র:২-৫)
"সুখের প্রধান কারণ ধর্ম।ধর্মের প্রধান কারণ হল অর্থ।অর্থলাভের প্রধান কারণ রাজ্য।রাজ্য রক্ষার প্রধান সহায় হল ইন্দ্রিয়জয়।"
প্রায় আড়াইহাজার বছর আগের অর্থশাস্ত্রকার চাণক্যের এ কথাগুলো এদেশীয় অধিবাসী বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় সম্যক উপলব্ধি করতে পারেনি।কথাগুলো যদি ঠিকঠাক তারা উপলব্ধি করতে পারত ; তবে আজ তাদের ইতিহাস অন্যরকম হয়ে যেত। বিদেশিদের দ্বারা তাদের বারবার পরাধীন হতে হত না। বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীরা ভারতবর্ষে গত এক সহস্রাব্দকালের অধিক সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন নৃশংসতা চালিয়েছে।সেই নিরবচ্ছিন্ন নৃশংসতা হয়ত করতে পারত না, বাধাগ্রস্ত হত।পৃথিবীর অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী যখন পরিমাণগত (quantitative) মানের দিকে সম্পূর্ণ ঝুঁকে ছিল ; তখন এদেশের প্রাজ্ঞজনেরা গুণগত (qualitative) মানের দিকেই তাদের সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিল। পরিণতিতে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। সংখ্যাধিক্যের জোরে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাই হয়েছে, যা কাম্য ছিল না। এদেশীয় ইতিহাস তার সাক্ষী। পৃথিবীর ইতিহাস বলে, ক্ষমতার চাকা গুণগত এবং পরিমাণগত এ দু'ভাবেই জগতে যুগপৎ অতিক্রম করে। কখনো এ চাকা থামে না, মানুষকে এ ঘুর্নায়মান চাকার সাথেই সাধ্যমত পথ চলতে হয়। যারা চলতে পারে না তারা পিছিয়ে পরে। ইতিহাস তাদের ভুলে যায়।
ক্ষমতার তো বটেই, ধর্মের প্রসারেও পরিমাণগত আধিক্য অপরিহার্য। যত মহৎ আদর্শই হোক না কেন লোকজন বা অনুসারী না থাকলে, সে আদর্শ হারিয়ে যায়। তাই পরিমাণগত এবং গুণগত দুটি বিষয়কেই সমানভাবে অঙ্গাঙ্গীভাবে গ্রহণ করতে হয়। দুটি বিষয় একটি অন্যটির পরিপূরক। সম্রাট অশোক মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজকোষ শূন্য করে দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বৌদ্ধ শ্রমণদের পাঠিয়ে বৌদ্ধমত প্রচার করেছেন। এমনকি এ কাজে তার ছেলে মহেন্দ্র এবং মেয়ে সঙ্ঘমিত্রাকেও যুক্ত করেন। তারাও রাজকন্যা রাজপুত্র হয়েও ধর্ম প্রচারের জন্যে সিংহলে (শ্রীলঙ্কা) যায়। সম্রাট আশোকের পরিমাণগত প্রচেষ্টার ফলে, বৌদ্ধমতবাদ আজ শ্রীলঙ্কা, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড সহ পূর্ব এশিয়ার সিংহভাগ জুড়ে অবস্থান করছে। সম্রাট অশোক যদি শুধু গুণগত মানের দিকেই সকল ঝোঁক দিতেন, তবে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এভাবে বৌদ্ধমতবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়ত হত না। সম্রাট অশোক পরবর্তীতে পৃথিবীতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখি রোমান সম্রাট Constantine এর জীবনে। তিনি খ্রিস্টমত অবলম্বন করে, সেই মতবাদ প্রচারে যদি মেতে না উঠতেন, তাহলে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে আজ এত খ্রিস্টান সম্প্রদায় হত না। ইউরোপ জুড়ে প্রাচীন গ্রিক এবং রোমান দেবদেবীরা তবে আজও রাজত্ব করত। আজকে ইউরোপে প্রাচীন গ্রিক এবং রোমান ধর্মাবলম্বীরা নেই। তাই মানুষের সাথে সাথে তাদের দেবতারও হারিয়ে গেছে।এত শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে থাকার পরেও গ্রিক এবং রোমানদের পূজিত দেবতারা জিউস, পোসেইডন, হেডেস, থিওস, আফ্রোদিতি, জুপিটার, জুনো, মিনার্ভা, নেপচুন ও প্লুটো এ সকল প্রমুখ দেবতারা আজ কোথায়? শুধু দেবতাদের ভাঙা মন্দিরগুলো এবং বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত তাদের মূর্তিগুলো পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ হিসেবে প্রাচীন গর্বিত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলছে।
আধ্যাত্মিক ধর্ম মানুষের অন্তঃস্থিত বিষয়, কিন্তু ব্যবহারিক ধর্ম টিকে থাকে অর্থনৈতিক শক্তি, রাজশক্তি, সংখ্যাধিক্য এবং বাহুবলের জোরে। এ বিষয়গুলোর যারা সুসম্মিলন করতে পেরেছে, তারাই পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে।এ জগত 'বীরভোগ্যা বসুন্ধরা'; যারা বীর, যারা নির্ভীক তারাই টিকে থাকে। যারা বিপদে ভীত হয়ে পালিয়ে যায়, রাজশক্তিও তাদের থেকে দূরে চলে যায়। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় (০২.০৩) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কথা বলা শুরু করেছেন, অর্জুনকে হৃদয়ের ক্ষুদ্র দুর্বলতা ত্যাগ করে উঠে দাঁড়াতে এবং ক্লীবতা কাপুরুষতা পরিত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে।শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখে বলা প্রথম শ্লোকগুলি এবং সঞ্জয়ের মুখে বলা গীতার শেষ শ্লোকটি খুবই তাৎপর্যময়, মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবহ ; কথাগুলি বর্তমানের হিন্দুজাতির জন্যে খুবই প্রাসঙ্গিক।
যত্র যোগেশ্বরঃ কৃষ্ণো যত্র পার্থো ধনুর্ধরঃ।
তত্র শ্রীর্বিজয়ো ভূতিধ্রুর্বা নীতির্মতির্মম।।
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:১৮.৭৮)
"যেখানেই যোগেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং ধনুর্ধারী রক্ষাকারী পার্থ থাকবে; সেখানেই সর্বদা শ্রী, বিজয়, উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং ঐক্যবদ্ধতার অখণ্ডিত রাজনৈতিক নীতি সর্বদাই বিরাজ করবে।"
শুধুমাত্র ধর্ম ধর্ম করলেই হবে না; ধর্মকে রক্ষাকারী সক্রিয় ধনুর্ধারী পার্থদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায়, এমন অনেক জাতি সম্প্রদায় আছে, তাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক জ্ঞানী ধর্মপ্রাণ পণ্ডিত ব্যক্তি আছেন; কিন্তু তাঁদের জনসংখ্যা নেই, অনুগামী নেই। ব্যক্তিগতভাবে তাঁরা স্মরণীয় হলেও তাঁদের মতবাদ এবং দর্শনের সিংহভাগই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। এর বড় উদাহরণ গ্রিকের সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল এ প্রখ্যাত দার্শনিকেরা। মানুষ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের স্মরণ করলেও, প্রাচীন গ্রিক দেবদেবীদের সম্পর্কিত ধর্মদর্শনের পরিমাণগত প্রবৃদ্ধি হয় নি। আজ তাই সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল এ বিখ্যাত দার্শনিকদের পূজিত দেবতারা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে, শুধু অনুসারীর অভাবে। সত্যদ্রষ্টা জ্ঞানী অনেকে থাকার পরেও, অনুসরণকারী অনুগামী না থাকায় জগতের অনেক মহত্তর মতবাদ লুপ্ত হয়ে গেছে। এর বিপরীতে পৃথিবীতে অনেক নৃশংস মতবাদও ধর্মের নামে স্থাপিত হয়েছে, শুধু অনুগামীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে। তাই ধর্মের ব্যবহারিক প্রাতিষ্ঠানিক রূপের জন্যে অর্থ এবং রাজশক্তি অনিবার্য।
রাজশক্তি বা ক্ষমতার অংশীদার হতে বিভিন্নকালে বিভিন্ন মহাপুরুষ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে জন্ম নেয়া সমাজ সংস্কারক গুরুচাঁদ ঠাকুর (১৮৪৬ -১৯৩৭) অন্যতম। পিতা হরিচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পরবর্তীতে গুরুচাঁদ ঠাকুর বৃহত্তর বৈষ্ণব মতবাদ থেকে উৎপন্ন 'মতুয়া' সম্প্রদায়কে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করতে আপ্রাণ প্রয়াস চালান। ব্রিটিশ শাসিত পরাধীন ভারতবর্ষে হিন্দুদের রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। সকল প্রকার দাসত্বের মানসিকতা ত্যাগ করে তিনি রাজকীয় মানসিকতা গড়ে তুলতে বলেন:
“যে জাতির রাজা নেই।
সে জাতি তাজা নেই।।
রাজশক্তি মূল শক্তি কহিনু নিশ্চয়।
রাজশক্তি বিনা কেহ বড় নাহি হয়।।
রাজা যদি হতে চাও ধর রাজভাব।
ভাব অনুযায়ী আসে ভাবের স্বভাব।।
জাতি ধর্ম যাহা কিছু উঠাইতে চাও।
রাজশক্তি থাকে হাতে যাহা চাও পাও।।
যে জাতির দল নেই।
সে জাতির বল নেই।।"
এ রাজশক্তি বা ক্ষমতার অংশীদার হতে গুরুচাঁদ ঠাকুর ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্প্রদায়ের কল্যাণে দল গঠন করার কথা বলেন।তাঁর মতে, রাজা হতে চাইলে আগে রাজার রাজভাব গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ মানসিকভাবে একটি 'স্বয়মেব মৃগেন্দ্রতা' ভাব নিয়ে আসতে হবে। সিংহ বনে বাস করে। বনে তাকে কোন আনুষ্ঠানিক অভিষেক বা সংস্কার না করলেও সে তার আপন শক্তিবলেই বনের রাজা। তেমনিভাবে নিজের মধ্যেই অবস্থিত সুপ্ত সিংহভাবকে জাগ্রত করতে হবে। এ ভাবই তাকে একদিন ঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যে জাতির দল নেই, সে জাতির বলও নেই। গোষ্ঠীবদ্ধতা থেকেই বল আসে। যে জাতির রাজা বা নিজস্ব রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই ; সে জাতির ধর্ম, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ তাজা থাকে না, মৃতপ্রায় হয়ে যায়।রাজশক্তি ছাড়া কোন জাতিই বড় হতে পারে না। রাষ্ট্র একটি বড় কাঠামো, এ কাঠামোর মধ্যে যে সকল জাতিগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ অংশী হতে পারে না, সে সকল অভাগা জাতি নিস্তেজ হয়ে ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে। গুরুচাঁদ ঠাকুরের এ প্রেরণাদায়ী বাণীগুলো, মহানন্দ হালদার এবং বিচরণ পাগলের লেখা গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবনচরিতে পাওয়া যায়।
রাজশক্তির মাধ্যমে প্রচুর অর্থাগম হয়, এ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই রাজ্যকে দৃঢ় করে। অর্থের দ্বারা যেমন রাজ্যকে রক্ষা করা যায়, তেমনি উন্নতিবিধান করে লোককল্যাণ করা যায়। রাজশক্তি রক্ষার্থে প্রধানত সহায় হল ইন্দ্রিয়জয়। ইন্দ্রিয়কে জয় করতে না পারলে কখনই অতি কষ্টে স্বোপার্জিত রাজত্ব বা ক্ষমতা টিকে থাকে না। তাই ক্ষমতাসীনদের সর্বপ্রথমে প্রয়োজন, তাদের নিজ ইন্দ্রিয়কে বশীভূত করে নিয়ে আসা। যাতে ইন্দ্রিয়গুলো পাগলা ঘোড়ার মত এদিক ওদিক ছুটতে না পারে। বাক,পাণি, পাদ, পায়ু, উপস্থ- এ কর্মেন্দ্রিয় ; চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক, জিহ্বা এ জ্ঞানেন্দ্রিয় ; এ কর্মেন্দ্রিয় এবং জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সাথে যুক্ত আছে মন, বুদ্ধি, অহংকার এবং চিত্ত নামক চারটি অন্তরিন্দ্রিয় সহ আমাদের সর্বমোট চতুর্দশ ইন্দ্রিয়।এ চতুর্দশ ইন্দ্রিয়কে যে জয় করতে পারে, সেই রাজ্যকে দৃঢ় এবং শান্তিময় করতে পারে। অসংখ্য বড় বড় সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে, রাজশক্তির ইন্দ্রিয়ের লোলুপতার কারণে। সারা পৃথিবী জুড়ে আছে এর দৃষ্টান্ত। এ কারণেই বলা হয়, স্বাধীনতা অর্জনের থেকে রক্ষা করা অনেক কষ্টের। রাজশক্তি জিতেন্দ্রিয় না হলে কখনো ক্ষমতা দৃঢ় হয় না। চেঙ্গিস খান,নাদির শাহ্ সহ বিভিন্ন বিদেশি রাজারা ভারতবর্ষে রাজ্যজয়ের নামে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার করেছে। ফলশ্রুতিতে তারা তাদের বৃহত্তর সাম্রাজ্য ধরে রাখতে তো পারেননি, বরং পৃথিবীতে আজও তারা তাদের নৃশংসতার জন্যে কুখ্যাত হয়ে আছেন।
কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়